মেট্রোরেল চালু হবার পর ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ রুটে গণপরিবহনে চলাচলে স্বস্তির দরজা খুলেছে। মানুষ নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছে।লক্কড়ঝক্কড় বাসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ে থাকতে হচ্ছে না কিংবা অটোরিকশা চালকদের ভাড়ার নৈরাজ্য সহ্য করতে হচ্ছে না।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশলের অধ্যাপক সামছুল হক বলেন, মেট্রোরেলের পথে যারা বসবাস করেন তাদের যাত্রা আরামদায়ক, দ্রুতগতির ও নিরবিচ্ছিন্ন হয়েছে। যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছেন।এখনকার গণপরিবহনে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছানোর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
মেট্রোরেলে যুক্ত হচ্ছে আরও দুটি স্টেশন।আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরা সেন্টার স্টেশন ও ১ মার্চ মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশনেও থামবে মেট্রোরেল।
এ ছাড়া মার্চের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত বাকি ৪টি স্টেশনও চালুর ঘোষণা দিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
সেই সঙ্গে জুলাই মাসে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেট্রোরেলের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালুর কথাও জানিয়েছেন মেট্রোরেল বাস্তবায়নকারী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।
ঢাকা শহরের চিরচেনা যানজট এড়াতে সাড়ে ৬ বছর আগে উত্তরায় দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণযজ্ঞ শুরু হয়েছিল। গত ২৮ ডিসেম্বর এই মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনের পরদিন থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় মেট্রোরেল। প্রথমে আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশন পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
পরে ২৫ জানুয়ারি থেকে পল্লবী স্টেশনে যাত্রাবিরতি শুরু হয়।
চালু হওয়ার দিন-ক্ষণ ঠিক হওয়ার অপেক্ষায় থাকা অন্য স্টেশনগুলো হলো- উত্তরা সাউথ, মিরপুর-১১, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া।
এম.কে | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩