গত বছর কক্সবাজার থেকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে আবদুল জলিলকে। ডিবি পুলিশ সোপর্দ করে টেকনাফ থানায়। স্বামী নিখোঁজের ঘটনার তলব করতে জলিলের স্ত্রী থানায় কয়ক দফা এলেও সুরাহা হয় না। জলিলের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগমের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন অসি প্রদীপ। দেখানো হয় ভয়ভীতি। ৫ লাখ টাকাও দেন ছেনোয়ারা বেগম। এরপরও আটক জলিলকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।
দীর্ঘ ৭ মাস পর সাত জুলাই আব্দুল জলিলের লাশ পান ছেনোয়ারা বেগম। তথাকথিত ক্রসফায়ারের নাম দিয়ে তাকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) প্রদীপসহ ১২ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে দুই সন্তানসহ আদালতে হাজির হন ছেনোয়ারা।
ছেনোয়ারা সাংবাদিকদের বলেন, তাকে (স্বামী আবদুল জলিল) ধরা হয় ৩ ডিসেম্বর ২০১৯। আমি লাশ পেয়েছি ৭ জুলাই ২০২০। স্বামীকে ফেরত দিতে বললে তারা বলে, টাকা না দিলে তোমার স্বামীকে মেরে ফেলবো। আমি কিরে আপনাদের এত টাকা দেবো?
পরিবারের অভিযোগ, সাত মাস টেকনাফ থানার অন্ধ কুঠুরিতে রেখে শেষ পর্যন্ত মেরে ফেলা হয় আব্দুল জলিলকে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যার ঘটনার পর এমন একের পর এক লোমহর্ষক অভিযোগ নিয়ে ভুক্তভোগীরা আদালতের কাছে আসছেন।
এদিকে আব্দুল জলিলের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ও মামলা দায়েরের নথি দাখিলের নির্দেশ দিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
২৭ আগস্ট ২০২০
এনএইচটি
সূত্র: সময় টিভি