18 C
London
September 8, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

কথিত টিকিট কারসাজির কারণে বিমানের হজ ব্যবসা সঙ্কুচিত

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে, বাংলাদেশের অনেকে হজযাত্রী হজ করার প্রত্যাশী হলেও হজ পালন কর‍তে অক্ষম হচ্ছেন। মূল কারণ হিসাবে টিকিটের দাম এবং আবাসন ব্যয় অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয়েছে।

তথ্যমতে জানা যায় গত বছর বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রনালয়ের কিছু কর্মকর্তা হজ কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করতে পারেননি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, দুটি বিদেশী বিমান সংস্থা – সৌদিয়া এবং ফ্লাইনাস – বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (সিএএএবি) এবং বাংলাদেশের হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন এদের একের সাথে অন্যের সামঞ্জস্যতার অভাবে হজ প্যাকেজের ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়।

তাছাড়া খবরে জানা যায়, হজ নিয়ে বিভিন্ন সিন্ডিকেট কাজ করে বিধায় সিন্ডিকেটের দ্বারা হেরফেরের কারণেও হজ প্যাকেজ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারী ব্যবস্থার মাধ্যমে হজ যাত্রীদের পরিবহণ হ্রাস পাওয়াও আরেকটি অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এই বছর ধর্ম মন্ত্রনালয়ের অনুমোদিত কোটা অনুসারে বাংলাদেশ বিমানের ৫০%, সৌদি এয়ারলাইনস ৩৫% এবং ফ্লাইনাস ১৫% যাত্রী বহন করার কথা ছিল।

হজের যাত্রীবহনের ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও অপর্যাপ্ত যাত্রীর কারণে নয়টি হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছিল বলে জানা যায়। সৌদি আরবের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ (জিএসিএ) অপর্যাপ্ত যাত্রীদের কারণ হিসাবে এজেন্সিগুলোর রহস্যজনক ভূমিকাকে দায়ী করেছে।

বিমান কর্তৃপক্ষ জিএসিএকে নির্ধারিত হজ কোটা পূরণের জন্য অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য আবেদন করেছিল, তবে এই অনুরোধটি গৃহীত হয়নি বলেও জানা যায়। বিমান দাবি করে, ফ্লাইনাসকে নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত ফ্লাইট ম্যানেজমেন্ট স্লট দেওয়া হয়েছিল, যা বিমানের বহন করার কথা ছিল।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ভুইয়া ১১ ই জুন ধর্ম মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি লিখেন। হজ নিয়ে অব্যবস্থাপনায় মন্ত্রণালয়ের রহস্যজনক ভূমিকা সম্পর্কে অভিযোগ করেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান ফ্লাইনেস বিমানের শিডিউল ফ্লাইট বহন করে চলছে। তিনি ধর্ম মন্ত্রীর কথা উপেক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

১৩ ই জুন হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন বলেন, “হজ এজেন্সিগুলি অর্থ জমা দেওয়ার পরেও বিমান কর্তৃপক্ষের জন্য বেশ কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করেছিল। কিন্তু বিমান যাত্রীদের জন্য কোনো ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে নাই। যার ফলে যাত্রীদের অন্যান্য বিমান সংস্থা দ্বারাই হজের জন্য প্রেরণ করা হয়।”

বাংলাদেশ বিমানের সিইও অতিরিক্ত যাত্রী বহনকারী এবং মন্ত্রীর দিকনির্দেশ লঙ্ঘনকারী বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তিনি যাত্রী প্রতি ১০০ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব করেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বলেন, আমরা বাংলাদেশ বিমানের চিঠি পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।
কেন বিমান ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং কোন এয়ারলাইনস এই যাত্রীদের বহন করে তা তদন্তের পরে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এম.কে
১৭ জুন ২০২৪

আরো পড়ুন

২৮ অক্টোবর ঘিরে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করলো যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে হু হু করে

যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন শেখ হাসিনা