বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর (৮৮) আর নেই৷ করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন৷
শনিবার (১৫ আগস্ট) শিল্পীর পারিবারিক বন্ধু আলোকচিত্রী মোহাম্মদ আসাদ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মুর্তজা বশীর দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন৷ শুক্রবার তার করোনা পরীক্ষা করা হলে ফলাফল পজিটিভ আসে৷ শুক্রবার থেকে তার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না৷ পরে শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷
চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে। তিনি ১৯৩২ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।
৮৮ বছর বয়সী এ চিত্রশিল্পীকে এর আগেও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে একাধিকবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
টিভি থ্রি বাংলার ‘চায়না এক্সপ্রেস’ অনুষ্টানের উপস্থাপক ও গবেষক শান্তা মারিয়া চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীরের ভাইয়ের মেয়ে। টিভি থ্রি বাংলা পরিবারের পক্ষ থেকে মুর্তজা বশীরের পরিবার ও শান্তা মারিয়কে আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
চিত্রকলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে একুশে পদক পান মুর্তজা বশীর। একই কাজে স্বাধীনতা পুরস্কার পান ২০১৯ সালে। কর্মজীবনে তিনি দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বাংলাদেশে বিমূর্ত ধারার চিত্রকলার অন্যতম পথিকৃৎ মুর্তজা বশীরের ‘দেয়াল’, ‘শহীদ শিরোনাম’, ‘পাখা’, ‘রক্তাক্ত ২১শে’ শিরোনামের চিত্রকর্মগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পেইন্টিং ছাড়াও ম্যুরাল, ছাপচিত্রসহ চিত্রকলার বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া লিখেছেন বই এবং গবেষণা করেছেন মুদ্রা ও শিলালিপি নিয়েও।
১৫ আগস্ট ২০২০
এনএইচটি