বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড- ১৯ কে মহামারী হিসাবে ঘোষণা করার পরে সাত মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। কয়েক লাখ মানুষ লকডাউনের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছেন। অনেকে বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ পেলেও চাকরি হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। বেশিরভাগ মানুষেরই ভবিষ্যত অনিশ্চিত। আমরা জানি না আবার কবে আমাদের জীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এটাও অনিশ্চিত এই মহামারী পুরো বিশ্বে কী ধরনের চিহ্ন রেখে যাবে।
মহামারি-পরবর্তী ভবিষ্যতে মানুষ কিভাবে কাজ করবে, সাফল্য অর্জন করবে অথবা দীর্ঘমেয়াদী কী পরিবর্তন আশতে যাচ্ছে কাজের ক্ষেত্রে তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।
ফিউচার ফোরামের গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ মানুষ কখনোই কাজের পুরানো পথে ফিরে যেতে চায় না। মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ ফুল টাইম অফিসে ফিরে যেতে চান এবং ৭২ শতাংশ মানুষ ‘হাইব্রিড রিমোট-অফিস মডেল’ অর্থাৎ বাসায় থেকে কাজ করতে চান।
ভিডিও কল বিশ্ব যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ভিডিও যোগাযোগের সাহায্যে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, অর্থ এবং বড় এবং ছোট ব্যবসাগুলো বৃদ্ধি এবং উন্নতি করছে। এই বছর শিক্ষক, প্রশিক্ষক, থেরাপিস্ট, হিসাবরক্ষক এবং অন্যান্য ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা তাদের গ্রাহকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য ভিডিও কল ব্যবহার করেছেন।
বিভিন্ন অফিসে এখন ভার্চুয়াল ইভেন্টগুলোতে জোর দেওয়া হচ্ছে। অভিজ্ঞ মানুষদের থেকে তরুণ পেশাদারদের কাছে ডিজিটাল কাজের সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা এবং সুযোগ বেশি। যাদের ভাল মানের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস আছে তাদের কাজের ক্ষেত্রে উন্নতি করার সুযোগ বেশি।
ছোট ব্যবসা এবং উদ্যোক্তা প্রতিটি গণতান্ত্রিক সমাজের উন্নতির রসদ। কিন্তু লকডাউনের কারণে ব্যবসা শুরু করা কঠিন হয়ে উঠছে এবং ইতিমধ্যে উদ্যোক্তা হ্রাস পেয়েছে অনেক দেশেই।
কিন্তু কাজের বিষয়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ৬০ শতাংশ কর্মীরা যারা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারেন না। করোনার কারণে দেয়া লকডাউন তাদের উপর কড়া প্রভাব ফেলছে। তাদের অনেকে চাকরি হারাচ্ছেন অথবা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইরে যাচ্ছেন কাজ করতে।
২৮ অক্টোবর ২০২০
এসএফ / এনএইচ