ব্রিটেনের আতিথেয়তা খাতটি মহামারীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ শিল্পগুলোর মধ্যে একটি। করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর ধরে নেয়া হয়েছিলো শীঘ্রই রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সুদিন ফিরে আসবে। তবে লন্ডনের কিছু রেস্তোঁরা এখনও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না পেরে বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
উল্লেখ্য রেস্তোরাঁগুলো বলেছে, তারা মহামারি পরবর্তী চাহিদা মোকাবেলা করার জন্য পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগের জন্য লড়াই করছে, রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বকালের উচ্চতায় পাব এবং রেস্তোরাঁয় শূন্যপদ রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে একজন হলেন ওয়েস্টমিনস্টারের সার্ডিনিয়ান রেস্টুরেন্ট চেইন অলিভোর মালিক মাউরো সান্না।
এলাকার অন্যদের মতো, তিনি কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করার পরে চাহিদার ঊর্ধ্বগতি দেখেছিলেন, তবুও মি: সান্না বলেন, কর্মী স্বল্পতার কারণে তাকে তার রেস্তোঁরা বন্ধ করতে হচ্ছে।
‘সাধারণত আমার রেস্তোরাঁগুলো সপ্তাহে সাত দিন খোলা থাকে, কিন্তু এই মুহুর্তে, কর্মীদের বিশ্রাম দেওয়ার জন্য আমার দুটি রেস্তোঁরা দুই দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে।’
মি: সান্না কোভিডের সাথে সাথে ব্রেক্সিটকেও দায়ী করেছে রেস্তোরাঁ ব্যবসার এই ধস এবং কর্মী সংকটের জন্য। ব্রেক্সিট আইনের ফলে রেস্তোরাঁ কর্মী সংকট এখন তুঙ্গে।
এদিকে, ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিলের অর্থায়নে ১ মিলিয়ন পাউন্ডের স্কিম নেয়া হয়েছে, আতিথেয়তা সেক্টরের পড়ন্ত অবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য।
নিউ ওয়েস্ট অ্যান্ড কোম্পানি, এবং নাইটসব্রিজ পার্টনারশিপ – যা লন্ডনে প্রায় ৯০০টি ব্যবসার প্রতিনিধিত্ব করে – লোকাল ডেমোক্রেসি রিপোর্টিং সার্ভিস (LDRS) অনুসারে আগামী দুই বছরে ২২০০ জন কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
৩০ মার্চ ২০২২
সূত্র: বিবিসি
এনএইচ