সার্বিয়ার অর্থনীতির বেশ কিছু খাতে চলছে গুরুতর শ্রমিক সংকট। সমস্যা সমাধানে দেশটিতে অবস্থানরত অভিবাসীদের নিয়োগ করতে চাইছে সরকার। বেলগ্রেড কর্তৃপক্ষের মতে, প্রতি বছর ৩০ হাজার সার্ব নাগরিক বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান।
গণপরিবহন, নির্মাণ ও হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বেশ কিছু খাতে হন্য হয়ে কর্মী খুঁজছেন সার্বিয়ার নিয়োগকর্তারা। পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় ঝিমিয়ে পড়েছে পরিচিত এসব খাত। দেশটির সরকারের ধারণা, প্রতি বছর আনুমানিক ৩০ হাজার সার্ব নাগরিক দেশ ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। যাদের মধ্যে বড় একটি অংশ তরুণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্বিয়া যদি বিদেশি শ্রমিকদের দেশটিতে আকর্ষণ করতে চায় সেক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্যই প্রতিবেশি ক্রোয়েশিয়ার মতো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ফোর্বস সার্বিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে অন্তত ৫০ হাজার অভিবাসী বৈধভাবে সার্বিয়ার কাজের ভিসায় এসেছেন। প্রতি বছর এই সংখ্যা বাড়লেও বিদেশি কর্মীদের জন্য সরকার এখনও ইন্টিগ্রেশনস কোর্স ও ভাষা শেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
ফোর্বস সার্বিয়াকে দেশটির ন্যাশনাল এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিস জানিয়েছে, সার্বিয়াতে এখনও ক্রোয়েশিয়ার মতো কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়নি। বেলগ্রেডের বেসরকারি পরিবহন কোম্পানি আরিভা শ্রীলঙ্কা থেকে বেশ বাস চালককে নিয়ে এসেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সার্বিয়ায় বিদেশিদের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত নতুন আইনের আওতায় ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছে ফোর্বস সার্বিয়া। নতুন আইনে, রেসিডেন্স পারমিটের অনুমতি এবং ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পদ্ধতিকে একীভূত করা হবে। পুরো প্রক্রিয়া সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সার্বিয়ার বর্তমান আইন অনুসারে, কাজের ভিসায় দেশটিতে আসা একজন বিদেশিকে অবশ্যই হোটেল বা হোস্টেলে চেক ইন করতে হবে এবং পুলিশের কাছে গিয়ে নিবন্ধিত হয়ে তারপর রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন জমা দিতে হয়।
জেলেনা জেভটোভিচ বলেন, বর্তমানে আইনে নতুন আসা কর্মীদের দুই মাস লেগে যায় শুধু রেসিডেন্স পারমিট পেতে। ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মীদের সবকিছু ইলেকট্রনিকভাবে সম্পন্ন হবে। আমরা এখনও প্রবিধানের জন্য অপেক্ষা করছি। সেটি প্রকাশ হলে বিস্তারিতভাবে কাজ করতে পারব।
উল্লেখ্য যে,সার্বিয়া বলকান রুটের একটি প্রধান ট্রানজিট দেশ। দেশটির মধ্যে দিয়ে প্রতি বছর হাজারো আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থী পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে অপেক্ষায় থাকে।
সূত্রঃ ফোর্বস সার্বিয়া
এম.কে
৩০ জানুয়ারি ২০২৪