15.1 C
London
September 16, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

কাজে ফেরেননি হাসিনা সরকারঘেঁষা ডিএমপি কর্মকর্তারা

ক্ষমতার পালাবদলের পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং দায়িত্ব পালন না করা পুলিশ সদস্যদের আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছিলেন, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজে যোগ না দিলে অনুপস্থিতরা আর ‘চাকরি করতে চাইছেন না’ বলে ধরে নেওয়া হবে। সে হিসেবে পরবর্তী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আলটিমেটামের আজ শেষ দিন হলেও গতকাল বুধবার পর্যন্ত আওয়ামীপন্থী কিংবা ক্ষমতাচ্যুত সরকারঘেঁষা হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বেশির ভাগ কর্মকর্তা কাজে যোগ দেননি।

ডিএমপি সূত্র বলছে, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারসহ অন্তত ২৫ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কাজে যোগ দেননি। এর মধ্যে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার থেকে অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন।

ডিএমপি সদর দপ্তরের ক্রাইম বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগসহ দুই-একটি ইউনিটের সদস্যরা পুরোদমে অফিস করছেন। বাকিদের কক্ষে তালা ঝোলানো দেখা যায়। অনেকের ফোনও বন্ধ। তবে থানাগুলোতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দিয়েছেন। থানাগুলো চালু হলেও গত তিন দিনে ঢাকা মহানগর পুলিশের ৫০ থানার মধ্যে কোনো থানাতেই মামলা দায়ের হয়নি। যদিও তিন দিনে ২৫০টির মতো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। আগে দিনে প্রায় এক হাজার জিডি হতো। ১৪ আগস্ট ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই কাজে ফিরছেন। আমরা আশাবাদী, বাকিরাও দ্রুতই কাজে ফিরবেন।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনুপস্থিত পদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, তারা সবাই মূলত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গত সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বিরাগভাজন হতে হয়েছে। এখন তারা প্রতিশোধের শিকার হওয়ার ভয় পাচ্ছেন।

গণ-আন্দোলন ও সহিংসতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর থেকেই দেশজুড়ে থানাসহ পুলিশের স্থাপনাগুলোতে একের পর এক হামলা হতে থাকে। ভাঙচুর ও লুটপাটও করা হয় অনেক থানায়। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য।

নিরাপত্তাহীনতা ও সহকর্মীদের হতাহত হওয়ার ক্ষোভ থেকে ৫ আগস্টের পর কাজে যোগ দেননি পুলিশের ননক্যাডার সদস্যরা। আর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়েও গেছেন।

অনুপস্থিত থাকা পুলিশ সদস্যদের ফেরানোসহ পুরো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম।

এদিকে ডিএমপি সদর দপ্তর ঘুরে দেখা গেছে, সাদা পোশাকে কাজে যোগ দিয়েছেন ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। তবে তাদের আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি থেকে তুলে ফেলা হয়েছে ডিএমপির লোগো ও পুলিশ লেখা স্টিকার। ভাড়া করা মাইক্রোবাসেও আনা-নেওয়া হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের।

আর ডিবি কার্যালয়ে দেখা যায় সকাল থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছিলেন কয়েকজন ডিসি ও এডিসি। তারা এসে দুপুরের মধ্যে বের হয়ে যান। এ সময় অনেকের হাতে কাগজপত্রের ব্যাগ দেখা যায়।

ডিবিতে কাজে যোগদান করা এডিসি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, তিনি শুরুর দিন থেকেই অফিস করছেন। আগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে না থাকায় এখন তার কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না।

এম.কে
১৬ আগস্ট ২০২৪

আরো পড়ুন

ওসমানী বিমানবন্দরে বন্ধ হতে পারে বিমান ওঠা-নামা

শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে , যা লেখা আছে

নিউজ ডেস্ক

আমিরাত থেকে দেশে ফিরেছেন কারাদণ্ড পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি