6.8 C
London
November 22, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

কানাডায় বিদেশিদের প্রবেশে কড়াকড়ি, বাড়ছে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার

বিদেশি ভ্রমণকারী ও অস্থায়ী বসবাসে আগ্রহীদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করছে কানাডা। নতুন সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল সরকার আগামী বছরের নির্বাচনের আগে অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে। যা দেশটিতে স্থায়ী অভিবাসীদের সংখ্যা আরও কমাতে পারে। কানাডায় বাড়ির সংকট ও উচ্চমূল্যের জন্য অভিবাসীদের দায়ী করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

কানাডীয়রা ঐতিহাসিকভাবে অভিবাসীদের স্বাগত জানাতে গর্ববোধ করে। কিন্তু সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে দেখা গেছে, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মানুষ মনে করছে যে কানাডা খুব বেশি অভিবাসীকে আশ্রয় দিচ্ছে। এই মনোভাব সীমান্ত ও অভিবাসন কর্মকর্তাদের কাজেও প্রতিফলিত হচ্ছে।

জুলাই মাসে কানাডা ৫ হাজার ৮৫৩ জন বিদেশি দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে দেয়নি। তাদের মধ্যে ছাত্র, কর্মী ও পর্যটকরাও ছিলেন। যা ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ। ২০২৪ সালের প্রথম সাত মাসে প্রতি মাসে গড়ে ৩ হাজার ৭২৭ জন বিদেশি দর্শনার্থীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। এছাড়া, জুলাই মাসে ২৮৫ জন ভিসাধারীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল, যা ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর সর্বাধিক।

কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির একজন মুখপাত্র বলেন, অভিবাসন প্রবণতা বা নীতি পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একই সময়ে, কানাডার অভিবাসন বিভাগ কম সংখ্যক ভিসা অনুমোদন করছে। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মে ও জুন মাসে ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যানের হার অনুমোদিত আবেদনের চেয়ে বেশি ছিল। এছাড়া, ২০২২ ও ২০২৩ সালের তুলনায় শিক্ষা ও কাজের ভিসার সংখ্যার অনুমোদন কমেছে।

ঘানার নাগরিক মোহাম্মদ কামিল শাইবু কানাডায় তার ভ্রমণের জন্য ফ্লাইটে উঠতে পারেননি। তাকে জানানো হয়েছিল তার অস্থায়ী বাসিন্দার ভিসা এখন আর বৈধ নয়।

ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী আইন অধ্যাপক গিডিয়ন ক্রিশ্চিয়ান বলেন, যদি কানাডা ভিসা প্রদান করে তবে তারা তা সম্মান করবে না কেন?

অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার আগস্ট মাসে বলেছিলেন, কানাডিয়ানরা এমন একটি সিস্টেম চায় যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। মন্ত্রীর মুখপাত্র জানান, স্টাডি ভিসার অনুমতির কমার পেছনে জানুয়ারিতে ঘোষিত একটি সীমা রয়েছে।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার আইনজীবী উইল তাও বলেন, তিনি কয়েকজন ভিসাধারীর প্রতিনিধিত্ব করেছেন যাদের সম্পর্কে সীমান্ত কর্মকর্তারা সন্দেহ পোষণ করেন এবং তাদেরকে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন অথবা বহিষ্কারের ঝুঁকি নিতে বলেন, কয়েকজনের ভিসা বাতিলও করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি ভিসা বা ভ্রমণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

সূত্রঃ রয়টার্স

এম.কে
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আরো পড়ুন

ধর্মঘটে বোয়িংয়ের ৩০ হাজারের বেশি কর্মী

ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের

আমরা কারো বাড়ির উঠান নইঃভারতকে ইঙ্গিত করে বললেন মুইজ্জু