কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাসহ একাধিক ভারতীয় কূটনীতিবিদকে সে দেশের একটি তদন্তে ‘পার্সন অব ইন্টারেস্ট’ বা সন্দেহভাজন হিসেবে ঘোষণা করার পর দু’দেশের সম্পর্ক চরম অবনতির স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
কোন মামলার তদন্তে এই পদক্ষেপ, সেটা স্পষ্ট না-করা হলেও গত বছরের জুনে কানাডার নাগরিক ও শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনার সাথেই এটি সংশ্লিষ্ট বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারত জানিয়েছে, রোববার (১৩ অক্টোবর) একটি ‘ডিপ্লোম্যাটিক কমিউনিকেশন’ বা কূটনৈতিক বার্তার মাধ্যমে কানাডা সরকার তাদেরকে এ কথা জানিয়েছে।
এরপরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার (১৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে কানাডার বক্তব্যকে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বলেছে, এই পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর ‘ভোটব্যাঙ্ক কেন্দ্রিক রাজনীতি’ ও ‘পলিটিক্যাল এজেন্ডা’র অংশ বলেই তারা মনে করে।
দিল্লিতে নিযুক্ত কানাডার সর্বোচ্চ কূটনীতিবিদ বা চার্জ-দ্য-অ্যাফেয়ারকেও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সোমবার সমন পাঠিয়ে তলব করা হয়েছে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সে দেশের পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার সাথে ‘ভারতীয় এজেন্ট’-দের যুক্ত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ভারত অবশ্য এই অভিযোগ তখন থেকেই অস্বীকার করে এসেছে এবং দাবি করেছে, কানাডা সরকার তাদের সাথে তদন্তের কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণই শেয়ার করেনি।
কিন্তু কানাডা সরকারের সর্বশেষ পদক্ষেপে এটা স্পষ্ট, তারা সেই তদন্তে এখন আরো অনেকদূর এগিয়েছে এবং সরাসরি ভারতীয় কূটনীতিকরা ওই ঘটনায় যুক্ত বলে মনে করছে।
উল্লেখ্য, কোনো ঘটনার তদন্তে ‘পার্সন অব ইন্টারেস্ট’ তাদেরই বলা হয় যাদের তদন্তকারীরা ওই ঘটনায় জড়িত বলে মনে করেন, কিন্তু তখনো যাদের গ্রেফতার করা হয়নি।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
১৫ অক্টোবর ২০২৪