গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ওই সরকার আমলে আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। সরকার পতনের পরদিন তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়। সাবেক এই আইজিপি রিমান্ডে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন।
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি পরিস্থিতির শিকার। আমি গুলি চালাতে চাইনি, যা করেছি সবই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করেছি। তার নির্দেশেই ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালানো হয়েছে। ঘটনার সময় যেহেতু আমি আইজিপি ছিলাম, তাই আমার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। এ কারণে আমি নিয়তি মেনে নিয়েছি, যা হওয়ার তাই হবে-এটা মাথায় রেখেই আমি আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিই। পরে সেনা হেফাজত থেকে আমাকে পুলিশে দেয়া হয়।
এদিকে শেখ হাসিনা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট হওয়ার পেছনে আওয়ামী লীগের ৫ নেতা দায়ী। এরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
পাঁচ আগস্টের পর গ্রেপ্তার শেষে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে নেতারা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) এসব তথ্য দেন। গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের। বিভিন্ন মামলায় ডিবি হেফাজতে রিমান্ড শেষে ইতোমধ্যেই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এম.কে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪