আগামী মাসে চার্লসের রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে হাজির না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই ব্যাখ্যা দিল হোয়াইট হাউস। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বদলে সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রেসিডেন্ট-পত্নী তথা আমেরিকার ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। তিনিই আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করবেন।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারিকে রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে বাইডেনের গরহাজিরা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে ব্রিটেনের হবু রাজার দীর্ঘক্ষণ টেলিফোনে কথা হয়েছে। ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের সেই টেলিফোন কথোপকথনের আগাগোড়া রাজ্যাভিষেকের আগেই চার্লসকে রাজা বলে সম্বোধন করেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘‘উনাদের মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথোপকথন হয়েছে। দু’জনের সম্পর্ক এতটাই মসৃণ।”
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জানিয়েছেন, ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের কথোপকথনে বাইডেন চার্লসকে জানিয়েছেন, ২০২১ সালে তিনি স্ত্রী জিলকে নিয়ে রানি এলিজাবেথ তৃতীয়ের সান্নিধ্য কতটা উপভোগ করেছিলেন। চার্লস বাইডেনকে আবার ইংল্যান্ড ঘুরে যাওয়ার নিমন্ত্রণ করেছেন। পত্রপাঠ তা গ্রহণ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তবে সেই সফরের দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি।’
চার্লসের রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কেন হাজির থাকবেন না তা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের জেরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে কি না, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বাইডেনের মনোভাবকে অনেকেই ঔদ্ধত্য হিসাবে অভিহিত করতে শুরু করেন। এই আবহেই বাইডেন, চার্লস ‘সুসম্পর্কে’র দাবি করল হোয়াইট হাউস।