14.2 C
London
May 7, 2024
TV3 BANGLA
আরো

কুকুর পোষা সমাজতন্ত্রের সঙ্গে বেমানান—নিষিদ্ধ হলো উত্তর কোরিয়ায়

বাড়িতে কুকুর পোষা মানুষদের অভিযুক্ত করেছে উত্তর কোরিয়ার সরকার। উত্তর কোরিয়া সরকারের মতে কুকুর পোষা ‘অ-সমাজতান্ত্রিক আচরণ’। পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া একটি সংগঠনের বরাতে এই খবর জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যম ডেইলি এনকে।

এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুকুর পোষা কোনো ‘সমাজতান্ত্রিক আচরণ নয়’ এবং শুধু শুধু ‘অর্থের অপচয়’ হয় দাবি করে বিষয়টিকে নিষিদ্ধ করেছে উত্তর কোরিয়ার সোশ্যালিস্ট উইমেনস ইউনিয়ন। সংগঠনটি দাবি করেছে, একটি পোষা কুকুর রাখা এবং এটির সঙ্গে পরিবারের সদস্যের মতো আচরণ করা দেশ পরিচালনার জন্য কিম জং উনের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সোশ্যালিস্ট উইমেনস ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ডেইলি এনকের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাড়িতে কুকুর পোষা পরিবারগুলোর সংখ্যা বাড়ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘সোশ্যালিস্ট উইমেনস ইউনিয়ন সম্প্রতি তার সদস্যদের জানিয়েছে, একটি কুকুরকে পরিবারের সদস্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরিবারের সদস্যরা কুকুরের সঙ্গে খায় এবং ঘুমায়। বিষয়টি সমাজতান্ত্রিক জীবনধারার সঙ্গে বেমানান এবং কঠোরভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত।’

সোশ্যালিস্ট উইমেন ইউনিয়ন বলছে, কুকুর হলো মূলত একটি মাংস, যা প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে উঠে এবং মারা গেলে এদের খাওয়া হয়। তাই কুকুরকে বাড়িতে রেখে পোষা সম্পূর্ণ অ-সমাজতান্ত্রিক এবং কঠোরভাবে নির্মূল করা উচিত।

সরকারের আদেশ অমান্য করে বাড়িতে কুকুর পোষাকে একটি বড় সমস্যা হিসেবেও চিহ্নিত করেছে সংগঠনটি। এর কর্তাব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কুকুরের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাকে উত্তর কোরিয়ায় ‘পশ্চিমা সংস্কৃতির’ চিহ্ন হিসেবে দেখা হয়। ইঁদুর নির্মূল করার জন্য বাড়িতে বিড়াল রাখার প্রথা দেশটিতে বহু প্রাচীন। তবে কুকুরের সংখ্যা ছিল খুবই কম। তবে সেই সংখ্যা ধীরে ধীরে অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে, বিদেশি জাতের কুকুর—যা উত্তর কোরিয়ায় একসময় বিরল ঘটনা ছিল।

সূত্রঃ ডেইলি এন

এম.কে
১৬ মার্চ ২০২৪

আরো পড়ুন

আইফোন না হওয়ায় অবশেষে চুরি করা ফোন ফেরত দিল চোর

৮ কোটি টাকায় বিক্রি হলো রোজকে বাঁচানো টাইটানিকের সেই দরজাটি

বিশ্বের সবচেয়ে দামি পারফিউম তৈরি হয় প্রাণীর বমি থেকে