22 C
London
May 20, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

কোরবানি বন্ধের নির্দেশঃ ডেপুটি হাইকমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা ভাবছে সরকার

ঈদুল আজহায় ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে কোরবানি দেওয়ার রীতি দীর্ঘদিনের। সেই রীতি ভেঙে ডেপুটি হাইকমিশনে এবার কোরবানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন নবনিযুক্ত ডেপুটি হাইকমিশনার শাবাব বিন আহমেদ। তার এ পদক্ষেপের ফলে কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় উচ্চ পর্যায় থেকে জরুরি ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে মিশন সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে, একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, নবনিযুক্ত ডেপুটি হাইকমিশনারের এমন নির্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারও বেশ বিব্রত। ফলে তার তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।

জানা গেছে, শাবাব বিন আহমেদ কলকাতা মিশনে যোগদানের আগেই কোরবানি বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন, যদিও কলকাতা মিশনে কোরবানি করার রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে

ঈদুল আজহায় কোরবানি হয়ে আসছে। প্রতি বছর সেখানে পাঁচ থেকে সাতটি গরু ও ছাগল কোরবানি করা হয় এবং এর একটি বড় অংশ স্থানীয় বিভিন্ন এতিমখানায় পাঠানো হয়। তাছাড়া মিশনের আশপাশে বসবাসকারী প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম হওয়ায় নবনিযুক্ত মিশনপ্রধানের নির্দেশনাকে ভালোভাবে নেয়নি মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। সরকারও বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে নেওয়ায় এ বিষয়ে শাবাব বিন আহমেদের বক্তব্য জানতে তাকে ঢাকায় তলব করা হতে পারে।

কলকাতায় নতুন মিশনপ্রধান শাবাব বর্তমানে হেগে মিনিস্টার (রাজনৈতিক) হিসেবে কর্মরত। আগামী জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তার কলকাতা মিশনের দায়িত্ব নেওয়ার কথা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, কলকাতার নবনিযুক্ত ডেপুটি হাইকমিশনার যখন কোরবানি বন্ধের নির্দেশ দেন, তখন দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাকে মিশনের দীর্ঘদিনের কোরবানির ঐতিহ্য এবং এর স্পর্শকাতরতার কথা বারবার তুলে ধরেন এবং এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে অপারগতা জানান। কিন্তু নতুন মিশনপ্রধান তাদের কোনো যুক্তিই মানতে রাজি হননি। একপর্যায়ে দূতাবাসের কর্মকর্তারা নতুন মিশনপ্রধানকে প্রয়োজনে কোরবানির পর দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে শাবাব সাফ জানিয়ে দেন, তিনি ঈদের আগেই দায়িত্ব নেবেন এবং কোরবানির সব ধরনের প্রস্তুতিও বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি। এতে মিশনের কর্মীরাও তার ওপর ক্ষুব্ধ।

এ নিয়ে শাবাব বিন আহমেদ বিভিন্ন স্থানে বলেছেন, কলকাতা ছাড়া আর কোনো মিশনে কোরবানি হয় না। আমি এর আগে আরও পাঁচটি মিশনে দায়িত্ব পালন করেছি। কোথাও কোরবানি করা হয় না। আমরা কূটনীতিকরা দেশের জন্য কাজ করি। আমরা যেখানে কাজ করব, সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতির কথা আমাদের মাথায় রাখা দরকার।

তিনি আরও বলেছেন, আমাদের স্বাগতিক দেশের রীতিনীতি মেনে চলা উচিত। কূটনীতিক হিসেবে হোস্ট কান্ট্রির আস্থা অর্জন করা জরুরি। আমাদের কলকাতা মিশনের নিরাপত্তায় ২৫ জনের মতো নিরাপত্তাকর্মী থাকে। তারা তো গরুকে পূজা করে। একবার ভেবে দেখেছেন, তারা যাকে পূজা করে, যখন আমরা সেটাকে জবাই করি, তাদের মনের অবস্থা কী হয়? এগুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

এম.কে
২০ মে ২০২৫

আরো পড়ুন

করোনাকালে ঘুড়ি বিক্রির ধুম

অনলাইন ডেস্ক

টিউলিপের উচিত এখন দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোঃ দ্য টাইমস

আলোচিত সেই মাফলার ‘নিলামে’ বিক্রি করবেন প্রেস সচিব