7.2 C
London
December 22, 2024
TV3 BANGLA
শীর্ষ খবরস্পোর্টস

কোহলির ‘ফেক ফিল্ডিং’ এবং বাংলাদেশের ৫ রানের আফসোস

লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটিংয়ের সময় ‘ফেক ফিল্ডিং’ এর ভান করেছিলেন ভারতের বিরাট কোহলি। এ নিয়ে অভিযোগ জানালেও নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ রান দেওয়া হয়নি বাংলাদেশকে।

 

বৃষ্টির পর মাঠ যথেষ্ট না শুকানোর আগেই খেলা শুরু করা হয়েছে কিনা, এটা নিয়ে ম্যাচ শেষে প্রশ্ন ওঠে অনেক। সাকিব আল হাসান অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে ভেজা মাঠ নিয়ে কোনো আপত্তি নেই বলেই জানালেন বারবার। তবে ১৪ বলে অপরাজিত ২৫ রান করা সোহান ম্যাচ শেষে ‘মিক্সড জোনে’ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তুলে ধরেন ওই ফেক ফিল্ডিংয়ের পেনাল্টি থেকে নিজেদের বঞ্চিত ভাবার কথা।

 

ম্যাচশেষে এ নিয়ে আফসোস করে উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মাঠ যে ভেজা, আপনারাও দেখছেন বাইরে থেকে। ইভেনচুয়ালি আমার কাছে মনে হয় যে, যখন আমরা কথা বলি… একটা ফেক থ্রোও ছিল। যেটায় ৫ রান পেনাল্টি হয়তো হতে পারত। যেটা আমাদের দিকে আসতে পারত। দূর্ভাগ্যবশত সেটাও আসেনি। ’

 

অক্ষর প্যাটেলের করা ইনিংসের সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে ঘটে ওই ঘটনা। সীমানা থেকে আর্শদিপ সিংয়ের থ্রোয়ে বিরাট কোহলিকে দেখা গেছে থ্রো করার ভান করার। ভিডিও অনুযায়ী সেটি ছিল স্পষ্টই ‘ফেক ফিল্ডিং’। নিয়ম মতো বাংলাদেশকে পাঁচ রান দেওয়ার সঙ্গে বলটি ডেড হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আম্পায়াররা জানিয়েছেন, তারা দেখেননি।

 

২০১৭ সালে তৈরি করা নিয়ম অনুযায়ী, ‘কোনো ফিল্ডার তার কথা বা কাজ দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাটসম্যানের মনোযোগ ভিন্নমুখী করলে বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা কিংবা বাধার সৃষ্টি করলে, তা অন্যায্য হবে। ’ এক্ষেত্রে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষমতা আম্পায়ারদের হাতেই।

 

নুরুল হাসানের মন্তব্যের পর থেকে আলোচনাটা শুরু হয়। কাল অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নুরুল বাংলাদেশের ইনিংসে ‘ফেক ফিল্ডিং’-এর কারণে ৫ রান না পাওয়ার আক্ষেপ করেন। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটি বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হেরেছে ৫ রানে। এর পর থেকেই এ নিয়ে দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা থামছেই না।

 

আজ দলের সঙ্গে সফর করা বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসকেও এ ব্যাপারে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। অ্যাডিলেডে বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের নুরুল বলেছেন, ‘ফেক থ্রো’র একটা ঘটনা ছিল। আম্পায়ারকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি বলেছেন, তিনি বিষয়টি খেয়াল করেননি। সে জন্য রিভিউতে যায়নি। মাঝখানে সাকিব এটা নিয়ে অনেক আলাপ করেছে এরাসমাসের (আম্পায়ার) সঙ্গে। খেলার পরও এটা নিয়ে আলাপ হয়েছে।’

 

‘ফেক থ্রো’ বিতর্কে বিসিবির পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে জালাল ইউনুস নেতিবাচক সাড়াই দিয়েছেন, ‘কিছু হলেই যে বোর্ডের মাধ্যমে আলাপ করা হবে, ব্যাপারটা এত সহজ না। এটা তো স্কুল নয় যে, আপনি গিয়ে হেডমাস্টারের কাছে অভিযোগ করবেন। পরিস্থিতিটা সে রকম না। তারপরও আমরা যেন প্রপার ফোরামে গিয়ে কথা বলতে পারি, সেটা মাথায় আছে।’

 

হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি থেকে শুরু করে দেশটির শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ফলাও করে তুলে ধরা হয়েছে ফেক ফিল্ডিংয়ের বিষয়টি। দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ায়ও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

 

এ ছাড়া হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি, জি নিউজ, ক্রিকট্র্যাকারসহ দেশটির প্রায় সব গণমাধ্যমেই ঠাঁই করে নিয়েছে এ খবর। যদিও এমন পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের সমর্থকদের অজুহাত না খুঁজে বড় হওয়ার পরামর্শ ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের।

 

তিনি বলেন, ‘আমার বাংলাদেশের বন্ধুদের বলছি ফেক ফিল্ডিং, ভেজা মাঠ এসব নিয়ে অভিযোগ করা বন্ধ করুন। যদি একজন ব্যাটসম্যানও শেষমুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করতে পারত। তবে, বাংলাদেশ ম্যাচ জিততে পারত। কিন্তু তারা কি সেটা পেরেছে?’

 

৩ নভেম্বর ২০২২
এনএইচ

আরো পড়ুন

গোপন নথি টয়লেটে ফ্লাশ করে দিতেন ট্রাম্প!

নিজের মায়ের নাম খুঁজে ফিরেন বাংলাদেশী যুদ্ধশিশু জেইন রাধিকা

ব্যবসার প্রসারে বিভিন্ন দেশের সরকারকে হাত করেছে উবার!