একটা সময় খুব বন্ধুত্ব ছিল দেওর-ভাবীর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা ঘটনায় দুজনের দূরত্ব বেড়েছে। কিন্তু ভাবী মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে বিচলিত হয়ে পড়েছেন দেওর। কঠিন সময়ে ভাবীর পাশে দাঁড়াতে চাইছেন। কিন্তু ভাইকে নিজের স্ত্রীর ধারেপাশে ঘেঁষতে দেবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন বড় ভাই।
ঠিক এই ঘটনাটাই ঘটছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্দরে। সূত্রের খবর, হ্যারির সঙ্গে স্ত্রী কেটের দেখা হোক সেটা মোটেই চাইছেন না রাজকুমার উইলিয়াম। রাজপরিবারকে নিয়ে লেখা ‘দ্য কিং’ বইয়ের লেখক ক্রিস্টোফার অ্যান্ডারসনের কথায়, ‘হ্যারি আর কেট একটা সময় খুব ভালো ঘনিষ্ঠ ছিলেন। খুব বন্ধুত্ব ছিল দুজনের। তবে কেটের ক্যানসার হওয়ার খবর হ্যারি জানতেন না। আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই রাজবধূর অসুস্থতার খবর আসে হ্যারির কাছে।’
খবর পেয়েই হ্যারি অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছেন বলে মত অ্যান্ডারসনের। যাবতীয় পারিবারিক দূরত্ব মিটিয়ে কেটের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ রাজকুমার উইলিয়াম মোটেই চান না এই কঠিন সময়ে হ্যারির সঙ্গে কেটের সাক্ষাৎ হোক। ফলে চেষ্টা করলেও পুরনো সম্পর্ক হয়তো জোড়া লাগাতে পারবেন না হ্যারি। কেবল কেট নয়, গোটা রাজপরিবারই সমস্ত বিবাদ ভুলে হ্যারির সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে রাজি নয়।
উল্লেখ্য, ক্যানসারের জোড়া থাবা বসেছে ব্রিটিশ রাজপরিবারে। চলতি বছরের গোড়ার দিকে জানা যায়, প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। মার্চ মাসে নিজেই ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান রাজবধূ কেট। সূত্রের খবর, জানুয়ারি মাস থেকে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের দুই সদস্য। বাবার ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে আমেরিকা থেকে দেখা করতে এসেছিলেন হ্যারি। তা সত্ত্বেও দু’পক্ষের সম্পর্কের বরফ গলেনি।
সূত্রঃ ফক্স নিউজ
এম.কে
১০ মে ২০২৪