ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন বলেছেন, ওয়েলসের ঐতিহাসিক ক্যারফিলি আসনে লেবার পার্টির পরাজয় প্রমাণ করেছে যে জনগণ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে আর বিশ্বাস করে না। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “লেবারের দখল ভেঙে পড়েছে ঠিক ক্যারফিলি চীজের মতো।”
জনসনের মতে, এটি শুধু একটি আসনের হার নয়, বরং জনগণের এক স্পষ্ট বার্তা—স্টারমারকে তারা ‘আইনজীবীসুলভ, ছলনাময় ও রূপ বদলানো নেতা’ হিসেবে দেখছে। তার ভাষায়, ভোটাররা দীর্ঘদিন ধরে লেবার সরকারের প্রতিশ্রুতি শুনেছে, কিন্তু বাস্তবে কিছুই পায়নি।
ক্যারফিলি আসনটি লেবার পার্টির হাতে ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিক থেকে। ওয়েলসের এই আসন বহু দশক ধরে সমাজতান্ত্রিক ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ছিল। নির্বাচনের রাতেও এটি খুব কম আলোচনায় আসে—কারণ প্রায় প্রতি নির্বাচনে এখানকার ফলাফল আগেই অনুমান করা যেত: “লেবার হোল্ড।”
কিন্তু এইবারের নির্বাচনে সেই শতবর্ষী ধারাবাহিকতা ভেঙে গেছে। ভোটাররা এবার অন্য পথে হেঁটেছেন, যা ব্রিটিশ রাজনীতিতে নতুন এক বার্তা দিচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু লেবারের জন্য নয়, বরং গোটা যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ভারসাম্যের জন্য এক সতর্কবার্তা।
বোরিস জনসনের মন্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট যে তিনি এখনো লেবারের নেতৃত্ব নিয়ে আক্রমণাত্মক অবস্থানে আছেন। তার মতে, “স্টারমার একজন এমন নেতা, যিনি প্রতিশ্রুতির আড়ালে নিজের অবস্থান পাল্টাতে সিদ্ধহস্ত।”
সূত্রঃ ডেইলি মেইল
এম.কে

