খাদ্যের দামে লাগামহীন বৃদ্ধি আগামী বছর পর্যন্ত চলতে পারে বলে সতর্ক করেছে এই শিল্প সংশ্লিষ্ট একটি গ্রুপ।
ফুড অ্যান্ড ড্রিংক ফেডারেশন, যা যুক্তরাজ্যের খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুতকারকদের প্রতিনিধিত্ব করে, বলেছে যে দোকানের তাকগুলিতে পৌঁছাতে উৎপাদকদের খরচ উঠতে সাধারণত ৭-১২ মাস সময় লাগে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন জ্বালানি ও সারের মতো উৎপাদন খরচকে ত্বরান্বিত করেছে।
ফেডারেশনের বস কারেন বেটস মনে করেন, খাদ্যের দাম সহসাই ভালোর দিকে যাচ্ছে না। জাতীয় পরিসংখ্যান অধিদফতরের তথ্য অনুসারে, এ বছরের মে মাস পর্যন্ত খাদ্য ও পানীয়ের দাম ৮.৭% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী বছর খাদ্যের দাম ১০% এর বেশি বাড়তে পারে।
আরেকটি গ্রুপ, ইনস্টিটিউট অব গ্রোসারি ডিস্ট্রিবিউশন, যা প্রধানত বাজারের বিশ্লেষণ প্রদান করে, ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে রুটি, মাংস, দুধ, ফল এবং শাকসবজির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলি আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে এবং এগুলোর দাম ১৫% বাড়তে পারে।
গত মে মাসে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি ৪০ বছরের সর্বোচ্চ পয়েন্টে পৌঁছেছে। পবিবারগুলোর উপর চালানো বিবিসির এক জরিপ বলছে, জিনিসপত্রের দামের চাপে মানুষ বাজার করা ও খাদ্যগ্রহণ কমিয়ে দিয়েছে।
৪ জুলাই ২০২২
এনএইচ