গাজায় ত্রাণ বহরকে সুরক্ষায় যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। তিনি জানিয়েছেন, ইতালির মতো তার দেশও বহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনী মোতায়েন করবে। বহরটি সম্প্রতি গ্রীসের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ড্রোন হামলার শিকার হয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফরের সময় সানচেজ বলেন, ৪৫টি দেশের নাগরিকরা গাজায় খাদ্য পৌঁছে দিতে এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার প্রতি সংহতি জানাতে এই যাত্রায় অংশ নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক আইন ও নিরাপদ চলাচলের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো জরুরি। এ লক্ষ্যে স্পেন আগামীকাল কার্তাহেনা থেকে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠাবে, যাতে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি থাকবে।
“গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা” নামে এই বহরে রয়েছে প্রায় ৫০টি বেসামরিক নৌযান। এতে আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী ও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ছাড়াও আছেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। বহরের সংগঠকরা জানান, গ্রীক দ্বীপ গাভদোস থেকে প্রায় ৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে ১২টি ড্রোন তাদের আক্রমণ করে।
থুনবার্গ বলেন, প্রতিদিন রাতেই তাদের ওপর ড্রোন উড়তে দেখা যায়। তিনি জানান, এই মিশন সম্পূর্ণ গাজাকে কেন্দ্র করে, অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে নয়। তাদের ঝুঁকি কোনোভাবেই ফিলিস্তিনিদের প্রতিদিনের ঝুঁকির সমান নয়।
ইসরায়েল এর আগে অভিযোগ করেছে, এই বহর হামাসকে নীরব সমর্থন দিচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার ঘটনায় দেশটি কোনো মন্তব্য করেনি। ইসরায়েল দাবি করে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ১,২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হয়, যার জবাবেই গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়।
এরপর থেকে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, সংঘাতে ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধের কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে, ধ্বংস হয়েছে অধিকাংশ ভবন এবং জনগণ বহুবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫