7.2 C
London
December 22, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

গাজা যুদ্ধঃ মধ্যপ্রাচ্যে স্টারবাকস ও কোক বয়কটে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে মুসলিম দেশগুলোর ক্রেতা বড় বড় বিদেশি ব্র্যান্ড থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় শিক্ষার্থীরা স্টারবাকসে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে খবরে জানা যায়।

মিশরীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত বেশ কয়েকটি ভোক্তা বয়কট তালিকায় আমেরিকান এই কফি চেইনের নাম রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে এবং এর বাইরেও এই অবস্থা চলছে।

সম্প্রতি ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্টে দেখা যায়, কায়রোতে স্টারবাকস ও ম্যাকডোনাল্ডসের কয়েক ডজন দোকান সম্পূর্ণ খালি পড়ে আছে। অন্যদিকে স্থানীয় মিশরীয় সোডা ব্র্যান্ডের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের বিক্রি তিনগুণ বেড়েছে, কারণ ভোক্তারা কোকা-কোলা ও পেপসি এড়িয়ে চলছেন।

ম্যাকডোনাল্ডস কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস কেম্পজিনস্কি কিছুদিন আগে সতর্ক করেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার কারণে ব্যবসায় ‘উল্লেখযোগ্য প্রভাব’ পড়েছে।

এদিকে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে কেএফসি, পিৎজা হাট, ক্রিসপি ক্রিম ও হার্ডির মধ্যপ্রাচ্যের ফ্র্যাঞ্চাইজি অপারেটর আমেরিকানা রেস্টুরেন্ট ইন্টারন্যাশনাল পিএলসির শেয়ার সৌদি স্টক এক্সচেঞ্জে ২৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

কিছু বিশ্লেষক বলেছেন, বয়কটের কারণে আগামীতে এগুলোর মুনাফা আরও কমে যাবে। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা ব্র্যান্ডগুলো, বিশেষত আমেরিকান ব্র্যান্ডগুলো অপ্রত্যাশিত এক সংকটের মুখে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার ওপর জোর দেওয়ার জন্য প্রকাশ্য বিবৃতি জারি করেছে।

তবুও যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তিন মাসে এই আন্দোলন ধীরে ধীরে জোরালো হয়ে উঠেছে, বয়কটের জোয়ার ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে।

লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির অধ্যাপক ফাওয়াজ বলেন, বর্তমান বয়কট বিশেষভাবে লক্ষণীয়, কারণ বিভিন্ন দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী এই বয়কটের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

অধ্যাপক ফাওয়াজ বলেন, ম্যাকডোনাল্ডস বা স্টারবাকস বা অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। কারণ তরুণ সমাজ, যারা এসবের বড় ভোক্তা, তারা কী ঘটছে সে সম্পর্কে সচেতন এবং তারা খুব সক্রিয়; আর তারাই এই খাতে বিনিয়োগ বন্ধ করেছে।

শুধু মধ্যপ্রাচ্যই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক দোলাচলের ফলে বিভিন্ন ব্র্যান্ডকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায় ।

সূত্রঃ ব্লুমবার্গ

এম.কে
২৭ জানুয়ারি ২০২৪

 

আরো পড়ুন

কী হবে কাল পাকিস্তানে, দেশজুড়ে মোবাইল পরিষেবা বন্ধের ইঙ্গিত

মার্কিন শ্রমনীতি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্ট, উৎকণ্ঠায় ব্যবসায়ী মহল

নারীদের স্থান ঘর, তাদের আবারও ঘরে ফিরিয়ে নিতে হবে : চীন