স্থানীয় গ্রোসারি শপে পণ্যের দাম বৃদ্ধি এড়াতে অস্ট্রেলিয়া থেকে ডেলিভারির জন্য অর্ডার করার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন নিউজিল্যান্ডবাসী ।
কিউই ক্রেতারা তাদের বিদেশি প্রতিবেশীদের মুদি দোকান থেকে কাঁচা বাদাম, টিন স্প্যাগেটি এবং পাস্তার মতো খাবার আইটেম অর্ডার করছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য।
ওয়েলিংটন শহরের একজন নারী, যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, গার্ডিয়ানকে বলেন, তিনি এখন নিয়মিতভাবে তাসমান জুড়ে অনলাইনে মুদির অর্ডার দেন তার স্থানীয় কেনাকাটার পরিপূরক হিসেবে।
অস্ট্রেলিয়ান স্টোর থেকে পাওয়া পণ্যের পরিসরে, এবং নিউজিল্যান্ডের তাকগুলির তুলনায় সেগুলি কত সস্তা তা দেখে হতবাক হয়েছিলেন, তিনি বলেন। এমনকি মুদ্রা রূপান্তর, জিএসটি খরচ এবং একটি কাস্টমস ফি বিবেচনায়, তিনি ২৬৭ ডলারের কেনাকাটায় ৭০ ডলার সঞ্চয় করেছিলেন৷
নেতিবাচক দিক একটিই তিনি বলেন, স্টক সমস্যার কারণে অনেক কিছুই অনুপলব্ধ ছিল।
তিনি অস্ট্রেলিয়ার অ্যামাজনের মাধ্যমে অর্ডার করেছিলেন এবং পাঁচ দিনের মধ্যে তার বাল্ক বাদাম, শুকনো ফল এবং টুথব্রাশের মতো ঘরোয়া জিনিসপত্রের অর্ডার পেয়েছিলেন।
নিউজিল্যান্ডে খাবারের দাম দ্রুত বৃদ্ধির সাথে সাথে কিছু পরিবার খরচ কমানোর জন্য যে মরিয়া পদক্ষেপ নিচ্ছে তাই ফুটে উঠেছে এতে।
দেশটির বিরোধী দল খাদ্য ব্যয়ের ‘সর্বোচ্চ’ বৃদ্ধির জন্য সরকারের উপর দোষ চাপিয়েছে, তবে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন অভিযোগের জবাব দিয়েছেন।
সরকার বলেছে, যে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি একটি সমস্যা যা প্রায় প্রতিটি দেশই সম্মুখীন। কোভিড -১৯ সম্পর্কিত সরবরাহ চেইন সমস্যা এবং ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে।
২৪ এপ্রিল ২০২২
এনএইচ