প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক স্নাতক ভিসা প্রকল্পে নিয়ে নিজের দলের প্রবীণ কয়েকজন সহকর্মীর চাপে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছেন। যার ফলে গ্র্যাজুয়েট ভিসা স্কিম বন্ধ হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী রেকর্ড পরিমাণ উচ্চহারের অভিবাসনকে কমিয়ে আনতে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন। তার পরিকল্পনার মধ্যে ছিল স্নাতক সম্পন্ন করা গ্রেজুয়েটদেরও যুক্তরাজ্যে দুই বছর থাকার সময়কালকে বাতিল করা।
তবে স্কাই নিউজের খবরে জানা যায়, পররাষ্ট্রসচিব লর্ড ক্যামেরন, চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট, শিক্ষা সচিব গিলিয়ান কেগান এবং স্বরাষ্ট্রসচিব জেমস ক্লিভারলি তারা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় এবং অর্থনীতির উপর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরকারের সিনিয়র মন্ত্রীদের মতামত গিয়েছে গ্র্যাজুয়েট ভিসা স্কিমের পক্ষে।
স্কাই নিউজ জানায় পরিসংখ্যান অনুযায়ী অতিরিক্ত মাইগ্রেশনের তথ্য প্রকাশ পাবার পর সরকার কর্তৃক ঘোষিত কিছু অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। যার মধ্যে বিভিন্নদেশে ব্রিটিশ ডিগ্রি কোর্স বাজারজাত করা এজেন্টদের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে গ্র্যাজুয়েট ভিসা স্কিম নিয়ে মিঃ সুনাক প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানের কঠিন আক্রমণের মুখোমুখি হতে পারেন বলে জানা যায়। কারণ সুয়েলা দীর্ঘদিন হতে স্নাতক ভিসা রুটকে বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। প্রাক্তন অভিবাসন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিকও এই স্কিমের বিরোধী বলে জানা যায়। তিনি এই স্কিমকে বিদেশী শিক্ষার্থীদের স্বল্প বেতনে কাজ করার জন্য পিছনের দরজা বলে অভিহিত করেন।
বর্তমান স্বরাষ্ট্রসচিব মার্চ মাসে স্নাতক ভিসা রুট পর্যালোচনা করা জরুরি বলে জানিয়েছিলেন। যে কারণে মাইগ্রেশন অ্যাডভাইজরি কমিটি (ম্যাক) এই বিষয়ে গভীর পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে ম্যাক পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করে ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নের মূল চাবি হচ্ছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষার গুণমান হ্রাস পায় নাই তাছাড়া গ্র্যাজুয়েট ভিসা স্কিম ধরে রাখা উচিত। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে দুই বছর কাজের সুযোগ নিতে পারে। ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিতে পারে এর মাধ্যমে।
উল্লেখ্য যে, গত বছর থেকে আইনী অভিবাসন রোধে চেষ্টা করে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী ২০২২ সালে নেট মাইগ্রেশন ৭,৪৫,০০০ এ আঘাত করেছে। এই কারণে সরকার শিক্ষার্থীদের তাদের ডিপেন্ডেন্ট আনা সহ নতুন নতুন কঠোর নিয়ম আরোপ করেছে।
সূত্রঃ স্কাই নিউজ
এম.কে
২২ মে ২০২৪