আর্জেন্টিনার হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলতে চীনে উড়াল দিয়েছে আর্জেন্টিনা। আর সেই দলের সঙ্গেই ছিলেন লিওনেল মেসি। গোটা বিশ্ব যখন মেসিকে দেখার জন্য উদগ্রীব। চীনেও তাকে ঘিরে উৎসাহ, উন্মাদনা ছিল সমর্থকদের। ঠিক তখনই চীনের বেইজিং এয়ারপোর্টে প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে থাকতে হয় মেসিকে।
সতীর্থ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, ব্যক্তিগত দেহরক্ষী এবং কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে ব্যক্তিগত বিমানে বেইজিংয়ে পৌঁছান মেসি। সেখানেই তাকে আটকায় চীনের বিমানবন্দর পুলিশ।
বিশ্ব গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য আর্জেন্টিনা দল এখন চীনে অবস্থান করছে। দল সেখানে পৌঁছানোর পর নিয়মানুযায়ী সবার পাসপোর্ট এবং ভিসা যাচাই করা হয়। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা এবং স্পেন উভয় দেশের পাসপোর্ট আছে। তবে চীনে যাওয়ার সময় মেসি আর্জেন্টিনার পাসপোর্ট না নিয়ে সঙ্গে নিয়েছিলেন স্পেনের পাসপোর্ট। আর দেশটিতে ভ্রমণের আগে ভিসার জন্য আবেদনও করেননি তিনি। আর তার সঙ্গে আরও বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় স্প্যানিশদের জন্য চীনে ভিসা ফ্রি প্রবেশের অনুমতি নেই।
স্প্যানিশ পাসপোর্টধারীদের চীনে প্রবেশের জন্য আগে থেকেই ভিসার আবেদন করতে হয়। তবে তাইওয়ানে স্পেনের পাসপোর্টধারীরা পৌঁছানোর পরেই ভিসা পেয়ে যান। লিওনেল মেসি ভেবেছিলেন তাইওয়ান চীনের একটি অংশ এ কারণেই তিনি চীনের জন্য আলাদাভাবে কোনো ভিসার আবেদন করেননি।
তবে পরবর্তীতে চীনের বিমানবন্দর নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হয়। মেসি ভিসা পেয়ে যান চীনে প্রবেশের। আর তাতেই চীনে প্রীতি ম্যাচ খেলতে তার আর কোনো বাঁধা রইল না।
উল্লেখ্য, আগামী বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। এরপর ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধেও একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবেন মেসিরা।
এম.কে
১৩ জুন ২০২৩