10.1 C
London
November 5, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

চীনের জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ জাহাজের প্রবেশের অভিযোগ

চীনের সামরিক বাহিনী সোমবার দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ অবৈধভাবে তাদের জলসীমা ‘সেকেন্ড থমাস শোল’ সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ করেছে। চীনের সাউদার্ন থিয়েটার অব অপারেশনের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে দক্ষিণ চীন সাগরে বিঘ্ন ঘটিয়েছে এবং চীনের সার্বভৌমত্ব মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছে।

দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের সঙ্গে জলসীমা নিয়ে বিরোধে লিপ্ত চীন। গত কয়েক মাসে ফিলিপাইনের নৌযানের সঙ্গে তারা বেশ কয়েকবার মুখোমুখি অবস্থানে গিয়েছিল। ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের টহল জাহাজের প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন।

তবে মার্কিন নৌবাহিনী দাবি করেছে, ইউএসএস গ্যাব্রিয়েল গিফোর্ডস যুদ্ধজাহাজটি আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। দক্ষিণ চীন সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় যুদ্ধজাহাজটি নিয়মিত টইল পরিচালনা করছে।

মার্কিন নৌবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিদিনই মার্কিন সপ্তম নৌবহর দক্ষিণ চীন সাগরে কাজ করে, যেমনটি তারা কয়েক দশক ধরে করেছে। এই অভিযানগুলো দেখায় যে, আমরা একটি মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

চীনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, মার্কিন জাহাজটি অনুসরণ ও পর্যবেক্ষেণ করা হচ্ছে। চীনের সাউদার্ন থিয়েটার অব অপারেশনের সেনারা জাতীয় সার্বভৌমত্বকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার জন্য সর্বদা উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মার্কিন নৌবাহিনী এর প্রতিক্রিয়া বলেছে, ‘একটি মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বজায় রাখার সমর্থনে মিত্র ও অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়া থেকে আমরা বিরত থাকব না।’

২০১৬ সালে জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনালের রায় অনুসারে, দ্বিতীয় থমাস শোল ফিলিপাইনের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত।

রোববার ফিলিপাইনের কোস্ট গার্ড অঞ্চলটির কাছে চীনের মিলিশিয়া জাহাজের সংখ্যা ‘আশঙ্কাজনক’ বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করার পরে দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের দুটি জাহাজ মোতায়েন করেছে।

সূত্রঃরয়টার্স

এম.কে
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

আরো পড়ুন

এবার ৯৮ লাখ টাকা বাড়তি পাবেন নোবেল জয়ীরা

নিউজ ডেস্ক

ম্যাক্রোঁর দল হারলে কী ঘটবে ফ্রান্সের ভাগ্যে?

ফিলিস্তিনিদের জীবনে কখনও এমন রমজান আসেনি: আন্তোনিও গুতেরেস