চীনের সরাসরি প্রযুক্তিগত সহায়তায় পাকিস্তান একটি নতুন ও শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।
জানা গেছে, “আব্দালি-৩” নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার এবং এটি পরমাণু ও প্রচলিত উভয় ধরণের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটির উন্নয়ন ও পরীক্ষায় চীনের গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা রয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এই ঘটনার পর ভারত চরম সতর্ক অবস্থানে চলে গেছে। ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীন ও পাকিস্তানের এই যৌথ সামরিক কৌশল ভারতের জন্য একটি ‘দ্বিমুখী হুমকি’ তৈরি করছে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক বিবৃতিতে বলেন, “ভারতের ভূখণ্ড ও নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের হুমকিকে আমরা কঠোরভাবে প্রতিহত করবো। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
কাশ্মীর সীমান্তে এরই মধ্যে সেনা মোতায়েন ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে ভারতের সেনাবাহিনী জানিয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান দাবি করেছে, এই পরীক্ষা শুধুমাত্র আত্মরক্ষামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় এমন সামরিক উত্তেজনা কেবলমাত্র দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এ সময় সংযম ও কূটনৈতিক সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে চীন এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এম.কে
০৫ মে ২০২৫