ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় ব্রিটেনকে রক্ষায় সমুদ্রসীমার অদূরে সতর্ক অবস্থান করবে দেশটির নৌবাহিনীর একাধিক টহল জলযান। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
বিবৃতিতে বলা হয়, চুক্তি যদি না হয় তবে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের নিরাপত্তা আমরা নিজেরাই নিশ্চিত করতে পারবো। সেই লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সমুদ্র সীমায় এ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ব্রেক্সিট আলোচনার মাঝে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের সব প্রস্তুতি নিতে মন্ত্রিসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বরিস জনসন বলেন, আলোচনা এমন দিকে এগোচ্ছে যে মনে হচ্ছে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের দিকে এগোচ্ছি আমরা। চুক্তি না হওয়ার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইইউর কয়েকজন নেতাকে দায়ী করে বলেন, এমন কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে যা কখনোই মানা সম্ভব নয়।
৩১ ডিসেম্বর ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের তারিখ হলেও রোববার (১৩ ডিসেম্বর) মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য সময় আগেই বেধে দেওয়া ছিল।
চলমান নীতি অনুসারে যুক্তরাজ্যের জলসীমায় ইউরোপীয় দেশগুলো অবাধে মাছ শিকার করতে পারে। ইইউ বিশেষ করে ফ্রান্স এই সুবিধা আগামীতেও বলবৎ রাখতে চায়। যুক্তরাজ্য এতে রাজি না হলে ইউরোপের বাজারে তাদের শুল্কমুক্ত মাছ রপ্তানি চায় না ইইউভূক্ত সদস্য রাষ্ট্র।
এছাড়া ব্রিটেনে ইইউ নাগরিকদের কর্মসংস্থান অধিকার এবং পরিবেশ বিষয়ক নীতিমালা বহাল রাখা, যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে সীমান্ত চৌকিতে তল্লাশি ও শুল্ক আদায় এবং উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ হলে ইউরোপীয় আদালতে সমাধানের কর্তৃত্ব চায় ইইউ।
আরও পড়ুন:
আলোচনা ব্যর্থ, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের পথে বরিস জনসন!
১৩ ডিসেম্বর ২০২০
এনএইচ