যুক্তরাজ্যগামী শরণার্থীদের ঠেকাতে সমুদ্রের ভেতরে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফরাসি পুলিশ। তবে মানবাধিকার সংস্থা ও শরণার্থী সহায়তাকারী সংগঠনগুলো বলছে, এই কৌশলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়বে এবং এটি ইউরোপিয়ান আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
শরণার্থী সংগঠন ‘উটোপিয়া ৫৬’-এর সমন্বয়ক আর্থার দো সান্তোস জানিয়েছেন, “এই পরিকল্পনার ফলে আরও বেশি মানুষ মরিয়া হয়ে উঠবে এবং বিপজ্জনক পথে পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে পড়বে।”
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ফরাসি পুলিশকে উপকূল থেকে ৩০০ মিটার দূরত্বে এবং জলপথে নৌকা থামানোর ক্ষমতা দেওয়া হবে। এই পরিকল্পনা ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য সম্মেলনের আগে কার্যকর করার লক্ষ্য রয়েছে।
ইতিমধ্যেই ডানকার্কের কাছের গ্রাভলিন সৈকতে পুলিশদের কোমরসমান পানিতে ঢুকে টিয়ার গ্যাস, লাঠি ও ঢাল নিয়ে নৌকায় উঠতে চাওয়া মানুষদের ঠেকাতে দেখা গেছে।
দো সান্তোস বলেন, “এই ধরনের কৌশল মানুষকে থামাবে না, বরং তাদের যাত্রা আরও বিপজ্জনক করে তুলবে।” তিনি আরও জানান, ইউরোপিয়ান আদালতে এই নীতির বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ আনা হবে।
ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা কেয়ারফরকালেই ইতোমধ্যে ফরাসি জলসীমায় হস্তক্ষেপ বন্ধে আইনি পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে। তাদের প্রধান নির্বাহী স্টিভ স্মিথ জানান, আগের টরি সরকারের ‘পুশব্যাক’ নীতির বিরুদ্ধেও তারা আইনি লড়াই করে জিতেছিল।
২০২৪ সালে চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে—যা আগের ছয় বছরের যৌথ সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। চলতি বছরেও ইতোমধ্যে ৯ জনের মৃত্যু বা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ফরাসি পুলিশ ইউনিয়ন আশঙ্কা করছে, এই অভিযান চালাতে গিয়ে যদি কেউ প্রাণ হারায়, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২০ জুন ২০২৫