30 C
London
July 10, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

চ্যানেল পারাপারে নতুন চুক্তিঃ ফ্রান্সে ফেরত যাবে অনেকে, যুক্তরাজ্যে আশ্রয় পাবে বাছাইকৃতরা

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স নতুন একটি অভিবাসন চুক্তির ঘোষণা দিতে যাচ্ছে, যার আওতায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া কিছু আশ্রয়প্রার্থীকে যুক্তরাজ্যে গ্রহণ করা হবে, আর বাকিদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে ফ্রান্সে।

এই চুক্তির নামকরণ করা হয়েছে ‘ ওয়ান ইন-ওয়ান আউট’ নীতির ভিত্তিতে, যা বৃহস্পতিবার লন্ডনে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

চুক্তিটি কার্যকর হলে যুক্তরাজ্য বছরে সর্বোচ্চ ২,৬০০ জনকে ফিরিয়ে দিতে পারবে, যা মোট অবৈধ পারাপারের মাত্র ৬ শতাংশ। এই পরিকল্পনাটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে এবং সময়ের সঙ্গে পরিধি বাড়ানো হতে পারে।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ফ্রান্সের উত্তর উপকূলে অভিবাসন রোধে অতিরিক্ত পুলিশ, নজরদারি সরঞ্জাম ও নৌযান ব্যবহারে অর্থ সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য। এ জন্য অতিরিক্ত অর্থ চাচ্ছে ফরাসি সরকার, যা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।

এ চুক্তিকে ঘিরে কিছু আইনি ও রাজনৈতিক বাধাও রয়েছে। ফ্রান্সে এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জ আসার আশঙ্কা রয়েছে, বিশেষ করে সমুদ্রসীমায় নৌকাগুলোকে আটকানো সংক্রান্ত নিয়ম নিয়ে।

ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে এটিই প্রথম কোনো ইউরোপীয় নেতার রাষ্ট্রীয় সফর, যেখানে ম্যাক্রোঁ রাজা চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়েছেন।

সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই আলোচনাটি ছিল জটিল এবং সময়োপযোগী। তবে রুয়ান্ডা প্রেরণ পরিকল্পনা বাতিল এবং স্টারমার–ম্যাক্রোঁর মধ্যকার সুসম্পর্কের কারণে এবার অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

এর পাশাপাশি, যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে কাজ করা অভিবাসীদের শনাক্ত করতে সীমান্ত বাহিনীকে বায়োমেট্রিক সরঞ্জাম দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যাতে ফ্রান্সের উদ্বেগ কিছুটা দূর হয়।

প্রায় এক দশক ধরেই যুক্তরাজ্য ফ্রান্সের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি করতে চাচ্ছে। তবে ফরাসি সরকারের আশঙ্কা ছিল যে, যুক্তরাজ্যের অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমবাজার অভিবাসীদের আকৃষ্ট করতে পারে।

পূর্ববর্তী সরকারের মন্ত্রীরাও চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছালেও রাজনৈতিক সমঝোতায় তা বাস্তবায়ন হয়নি। এবার লেবার সরকার নতুন করে এই আলোচনায় গতি আনতে সক্ষম হয়েছে।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
১০ জুলাই ২০২৫

আরো পড়ুন

ধূমপান নিষিদ্ধ করার বিলটি আটকে গেলো সাধারণ নির্বাচনের কারণে

নিউজ ডেস্ক

ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ অভিবাসন

ফ্রান্সের নাগরিকত্ব চান বোরিস জনসনের বাবা