বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের তৈরি তিনটি ভ্যাকসিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ক্যান্ডিডেটের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন ছয় মাসের মধ্যে এই টিকা বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ব্যবস্থাপনা ও অনুমোদনের বিষয়গুলো গ্লোব বায়োটেকের হাতে নেই। এই বিষয়গুলোর জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ রয়েছে। দ্রুততম সময়ে টিকার অনুমোদন পাওয়া গেলে ছয় মাস সময়ে মধ্যে তা বাজারে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন গ্লোব বায়োটেকের কর্মকর্তারা।
প্রি-ক্লিনিক্যাল ইভালুয়েশনের তালিকায় স্থান পাওয়া গ্লোব বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিন তিনটি হলো- DNA plasmid vaccine , Adenovirus Type 5 Vector , D614G variant LNP-encapsulated mRNA ।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের মধ্যে উন্নয়নের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে এলএনপি ভিত্তিক D614G variant LNP-encapsulated mRNA ক্যান্ডিডেটটি। মূলত এটির প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। বর্তমানে এটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে। বাকি দুটো এখনো প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে।
গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি এন্ড রেগুলেটরি অপারেশনের ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, এই ভ্যাকসিনটির তিনটি ক্যান্ডিডেটের মধ্যে একটির প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি চলছে।
এ নিয়ে গত ১৪ অক্টোবর আইসিডিডিআরবির সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। তারাই এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালটি পরিচালনা করবে।বর্তমানে আইসিডিডিআরবির প্রটোকল ডেভেলপমেন্ট রিভিউ নিয়ে কাজ চলছে।
তিনি জানান, আইসিডিডিআরবি দ্রুততার সঙ্গে এ বিষয়ে একটি আবেদন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল-বিএমআরসি’কে জমা দেবে।
গ্লোব বায়োটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাকন নাগ বলেন, বাংলাদেশ যেমন চাইনিজ, ইন্ডিয়ান কিংবা রাশিয়ার ভ্যাকসিনের জন্য ছুটছে ঠিক তেমনি অন্য দেশগুলোও আমাদের ভ্যাকসিন তাদের দেশে ট্রায়ালের ব্যাপারে আগ্রহের কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এই রোগটির জন্য ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ করতে শুরু করে গ্লোব বায়োটেক। শনিবার (১৭ অক্টোবর) তাদের তৈরি তিনটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কথা জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
১৯ অক্টোবর ২০২০
এনএইচ