পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন এবং হত্যা আইনে দেশের প্রথম কোনো মামলার রায় ঘোষণা হলো। যে উদ্দেশ্য নিয়ে ২০১৩ সালে জাতিসংঘের একটি সনদ অনুযায়ী এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়, ৭ বছর পর তা প্রথম কার্যকর হল।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় দেন। এ রায়ে পুলিশের সাবেক তিন সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুআরি ইশতিয়াক হোসেন জনি নামে এক যুবককে পল্লবী থানায় পিটিয়ে হত্যার করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুআরি মিরপুর ১১ নম্বর সেক্টরে স্থানীয় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পুলিশ সোর্স সুমনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ার এক পর্যায়ে পুলিশ এসে জনিকে আটক করে নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ হেফাজতে জনিকে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে জনির অবস্থা খারাপের দিকে গেলে জনিকে প্রথমে ন্যাশনাল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযোগ গঠনের পর প্রায় সাড়ে চার বছর পর এ মামলার বিচার কাজ শেষ হল।
এ মামলায় পল্লবী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাকি দুইজন পুলিশের সোর্স সুমন ও রাশেদকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত ।
৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
সানজানা ফারিহা, টিভিথ্রি বাংলা