জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অটোমেটেড সিস্টেম ফর কাস্টমস ডাটা (অ্যাসাইকুডা) সফটওয়্যারে একের পর এক জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। শুধু মে মাসেই চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এক কর্মকর্তার অজ্ঞাতে তার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অ্যাসাইকুডা সফটওয়্যারে ৪০ থেকে ৪৫ বার লগইন হয়েছে। সে সময় তিনি দেশের বাইরে ছিলেন।
অথচ অ্যাসাইকুডা সিস্টেমের মাধ্যমে এনবিআরের নির্ধারিত কিছু ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ছাড়া আইডি লগইন করার সিস্টেম নেই।
সেই সঙ্গে গোপনীয়তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ফোনে তাৎক্ষণিকভাবে চলে যাবে ওটিপি। সেই ওটিপি বসালেই শুধু অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে প্রবেশ করা সম্ভব। তবে এত সব নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেদ করে বারবার জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। সিস্টেম জালিয়াতি করে বারবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাস করে নিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্র।
গত সপ্তাহেও এমন একটি জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের একজন উপকমিশনারের আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে সিগারেটের চালান খালাসের চেষ্টা হয়।অবশ্য এ চেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। আগেই তা ধরা পড়ে।
তবে এতে অ্যাসাইকুডার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে। এর আগেও অ্যাসাইকুডার জালিয়াতির নানা তথ্য পাওয়া যায়। ২০২২ সালে এক অতিরিক্ত কমিশনারের আইডি ব্যবহার করে পাঁচ কনটেইনার মদ খালাস করা হয়। এর আগে অবসরে যাওয়া, এমনকি মৃত কর্মকর্তার আইডি দিয়েও হাজার হাজার কনটেইনার পণ্য বের করা হয় বলে জানা যায়।
এম.কে
০৩ জুলাই ২০২৪