জার্মানিতে অভিবাসীরা নিত্যদিনের জীবনে বর্ণবাদ এবং বৈষম্যের শিকার হওয়ার তথ্য থাকা সত্ত্বেও অনেক দক্ষ বিদেশী কর্মী দেশটিকে আকর্ষণীয় মনে করেন৷ ‘অর্গ্যানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)’ বুধবার জানিয়েছে এই তথ্য৷
জার্মানিতে অভিবাসী কর্মী হিসেবে আসতে আগ্রহী অত্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন ত্রিশ হাজার মানুষের কাছ থেকে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়েছে ওইসিডি৷ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখা গেছে, সময়ের সাথে সাথে তাদের ইউরোপের দেশটিতে আসার আগ্রহ ক্রমশ বেড়েছে৷
ওইসিডির জরিপে অংশ নেয়াদের ৯২% বিদেশেই বসবাস করতেন এবং সেখান থেকে তাদের জার্মানিতে আসার আগ্রহ বেড়েছে।
তবে যারা ইতোমধ্যেই জার্মানিতে পৌঁছেছেন তারা দেশটিতে যতটা বৈষম্যের শিকার হবেন বলে আসার আগে ধারনা করেছিলেন তারচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন৷
ওইসিডির থমাস লাইবিগ এই বিষয়ে বলেন, ‘‘বিশেষ করে আবাসন খোঁজার সময় এবং জনসমক্ষে বৈষম্যের অভিজ্ঞতা হওয়ার কথা জানা গেছে৷’’
জরিপে অংশ নেয়াদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যে জার্মানিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন তাদের অর্ধেকের বেশি জানিয়েছেন যে তারা তাদের জন্মসূত্রের কারণে ঘর ভাড়া বা বাড়ি কেনার সময় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন৷
তবে যারা এখনো আসতে পারেননি তাদের মধ্যে বৈষম্যের শিকার হওয়ার আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে কম৷
জরিপে অংশ নেয়াদের ৩৭% রেস্তরাঁ বা দোকানে বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন৷
জার্মানির অর্থনীতি বড় পরিসরে বিদেশি কর্মীদের উপর নির্ভরশীল৷ দেশটির কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান সংস্থার প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এই বিষয়টি ফুটে উঠেছে৷ বিদেশি কর্মীর সংখ্যা ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দেশটিতে ক্রমশ বাড়ছে এবং আরো বিদেশি কর্মীকে আকৃষ্ট করতে নতুন আইনও অনুমোদন দিয়েছে দেশটি৷
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪