যেসব পর্তুগিজ যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে আবাসিক অবস্থানের জন্য আবেদনের ৩০ জুনের সময়সীমা মিস করবেন, তাদের জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা কঠিন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন লন্ডনের পর্তুগালের কনসাল জেনারেল, ক্রিস্টিনা পিকারিনহো।
আগামী ৩০ জুন ইউকেতে বসবাসরত ইউরোপীয়দের কাজ বা পড়াশোনার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
ফেসবুকের একটি ব্রিফিংয়ের শুরুর সময় ক্রিস্টিনা পিকারিনহো বলেন, যারা যোগ্য এবং এখনো রেসিডেন্সিয়াল স্ট্যাটাসের বা সেটেলমেন্ট আবেদন করেনি তাদেরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদন করার জন্য আহবান করছি। অন্যথায় ১ জুলাই থেকে তাদের জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা কঠিন হয়ে যাবে।
ক্রিস্টিনা পিকারিনহো জোর দিয়ে বলেন, এমন অনেক পরিবার আছে যাদের বাবা-মায়েরা রেসিডেন্সিয়াল স্ট্যাটাস বা আবাসিক মর্যাদা পেয়েছে, কিন্তু তারা তাদের বাচ্চাদের রেসিডেন্সিয়াল স্ট্যাটাসের জন্য আবেদন করেনি। তাদের উচিত খুব দ্রুত আবেদন করে ফেলা।
পর্তুগিজ সরকার জানায়, ৩১ মার্চের মধ্যে পর্তুগিজ নাগরিকরা প্রায় ৩১৫,০০০ টি আবেদন করেছে। গণভোটে সমর্থনের তিন বছরেরও বেশি সময় পর গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪৭ বছরের সদস্যপদ ছেড়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ‘নতুন ভোরের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ইইউ জোটভুক্ত ২৮টি দেশের বাণিজ্য, কৃষি, শিল্প, অভিবাসনসহ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অনেক কিছুই ইইউর একক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালিত হয়। ১৯৭৩ সালে জোটে যোগ দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের বিদায় ইইউ জোটের ইতিহাসে প্রথম কোনো ভাঙনের ঘটনা।
সূত্র: দা পর্তুগাল নিউজ
১ মে ২০২১
এসএফ