TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

টাওয়ার হ্যামলেটসে জনসমুদ্র, জেরেমি করবিনের গর্জনঃ ‘এ ঐক্যই ব্রিটেনের শক্তি’

লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে আজ এক ঐতিহাসিক দৃশ্যের জন্ম হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ, বিশেষ করে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী, কালো মাস্ক পরে একত্রিত হন বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিশাল শান্তি সমাবেশে। আলতাব আলী পার্ক থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান রাস্তাগুলোজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে মানবতার পক্ষে মানুষের গর্জন।

বৃহৎ এই সমাবেশে একই মঞ্চে দেখা যায় মেয়র লুৎফর রহমান ও যুক্তরাজ্যের মেইনস্ট্রিম রাজনীতির প্রভাবশালী নেতা জেরেমি করবিনকে। দীর্ঘ সময় পর দুই নেতাকে একসঙ্গে দেখে সমর্থকদের মধ্যে দেখা যায় প্রবল উচ্ছ্বাস। করবিন বলেন, “বর্ণবাদ ও বিভাজন নয়, ঐক্যই আমাদের প্রকৃত শক্তি। টাওয়ার হ্যামলেটস আজ ব্রিটেনের বিবেককে জাগিয়ে তুলেছে।” লুৎফর রহমান বলেন, “এটি আমাদের কমিউনিটির সম্মিলিত প্রতিবাদ—যারা ন্যায়, মর্যাদা ও সমতার পক্ষে।”

আলতাব আলী পার্কে ভিড় জমতে থাকে হাজারো মানুষের। তরুণ-তরুণীরা ব্যানার, পোস্টার ও কালো পতাকা হাতে মিছিল করে আসে বিভিন্ন দিক থেকে। তাদের মুখে এক স্লোগান—“Say no to racism, say yes to humanity!” অনেকেই রিফিউজিদের স্বাগত জানিয়ে গান গেয়েছেন, যার সুরে মিশেছে প্রতিবাদ ও আশার বার্তা।

টাওয়ার হ্যামলেটসের মিছিলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি অংশ নেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, ছাত্র ও সমাজকর্মীরাও এতে অংশগ্রহণ করেন। তারা বলেন, ব্রিটেনে অভিবাসীরা কেবল শ্রম নয়, মানবতা ও সংস্কৃতির অংশীদার। তাই বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠ থামানো যাবে না।

সমাবেশে অংশ নেন এমপি আফসানা বেগম। তিনি বলেন, “আমাদের কমিউনিটি বারবার প্রমাণ করেছে—বৈষম্য, ইসলামোফোবিয়া বা বর্ণবাদের জায়গা এই দেশে নেই। আজকের এই ঐক্যবদ্ধ উপস্থিতিই সবচেয়ে শক্তিশালী উত্তর।”

পুরো আয়োজন জুড়ে ছিল এক উজ্জ্বল শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। পরিবার, শিশু ও প্রবীণদের উপস্থিতিতে রাস্তাগুলো পরিণত হয় এক উৎসবমুখর প্রতিবাদে। করবিনের ভাষায়, “এই সমাবেশ কেবল প্রতিবাদ নয়, এটি ব্রিটেনের ভবিষ্যতের এক প্রতিশ্রুতি—একটি দেশ, যেখানে সবাই সমানভাবে সম্মানিত।”

সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া

এম.কে

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে বর্ডার ফোর্সের ধর্মঘটের ডাক

নিউজ ডেস্ক

কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের দৌড় হতে প্রীতি প্যাটেল বাদ পড়েছেন

অভিবাসী নৌকা ছিদ্র করল ফরাসি পুলিশ, সুনির্দিষ্ট কৃতিত্ব দাবি করল ব্রিটিশ সরকার