বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতির শক্তির মঞ্চে এক ঐতিহাসিক অগ্রগতি অর্জন করেছে। পূর্বে যেখানে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের তালিকায় ১২৩তম অবস্থানে, সেখানে এখন উঠে এসেছে ৪৭ নম্বরে। মাত্র এক বছরের মাথায় এই অভাবনীয় উন্নয়নের পেছনে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে দেশের বর্তমান শাসক ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে।
বিশ্বের শক্তি সূচক সাধারণত নির্ধারিত হয় কিছু বিশেষ গুণের ভিত্তিতে—নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, বৈশ্বিক রাজনীতিতে অবস্থান, সামরিক সক্ষমতা এবং প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক। এই প্রতিটি ক্ষেত্রে ড. ইউনুস দৃঢ় নেতৃত্ব এবং দূরদর্শী কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক নতুন উচ্চতায়।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ড. ইউনুস দেশের ভেতরে ও বাইরের রাজনৈতিক কৌশলে নাটকীয় পরিবর্তন এনেছেন। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, কূটনৈতিক সম্পর্ক ও শান্তিপূর্ণ শক্তির ভারসাম্য তৈরির লক্ষ্যে তার নেওয়া পদক্ষেপগুলো দ্রুতই ফল দিতে শুরু করে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক খাতে বিনিয়োগবান্ধব নীতি, স্বচ্ছতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বৈশ্বিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি সুদৃঢ় হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের বড় শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলা, জাতিসংঘ ও আঞ্চলিক সংস্থায় কার্যকর উপস্থিতি এবং সামরিক আধুনিকায়নে বিনিয়োগই বাংলাদেশের এই উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। এর পাশাপাশি, ড. ইউনুসের নেতৃত্বে উদ্ভাবনী কূটনীতি এবং তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের প্রতি তার দায়বদ্ধতা দেশকে দ্রুত বিশ্বমঞ্চে দৃশ্যমান করেছে।
এক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ এখন আর শুধু একটি উন্নয়নশীল দেশ নয়—এটি একটি প্রভাবশালী কণ্ঠস্বর, যা বিশ্ব রাজনীতির গতিপথকে প্রভাবিত করতে সক্ষম।”
বাংলাদেশের এই নজিরবিহীন অগ্রগতি শুধু একটি সূচকের উন্নয়ন নয়—এটি একটি জাতির আত্মবিশ্বাস, সম্ভাবনা ও নেতৃত্বের নতুন যুগে প্রবেশের ঘোষণা।
সূত্রঃ ইউ.এস নিউজ
এম.কে
০৮ এপ্রিল ২০২৫