TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

তারেক রহমান নাম নিলেন না আওয়ামী লীগেরঃ বক্তব্য ঘিরে নতুন রাজনৈতিক জল্পনা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে নজিরবিহীন জনসমাগমে ঢাকার রাজপথ যেন এক বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) তার আগমন উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখো মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত হয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে তাকে স্বাগত জানাতে আসা দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারেক রহমান।

 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারেক রহমান বলেন, দেশের নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ভালোবাসা ও অংশগ্রহণ তাকে গভীরভাবে আবেগাপ্লুত করেছে। তিনি এই ভালোবাসাকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে নতুন প্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন।

মঞ্চে দেওয়া বক্তব্যে তারেক রহমান দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, ন্যায়বিচার, ভোটাধিকার এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন। লক্ষণীয় বিষয় হলো, দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি একবারও আওয়ামী লীগ কিংবা শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করেননি। এই বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা ও জল্পনার জন্ম দিয়েছে।

তারেক রহমানের বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে ফেসবুকে আওয়ামী লীগ-সমর্থক বিভিন্ন পেজ ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই দলীয় নেতৃত্বের সমালোচনা করে পোস্ট দেন। তাদের দাবি, ভারত ও আওয়ামী লীগের প্রচ্ছন্ন সম্মতি বা কৌশলগত ইঙ্গিত না থাকলে তারেক রহমানের দেশে ফেরা সম্ভব হতো না।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এসব আলোচনা অনুমাননির্ভর। তারা মনে করছেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বড় মোড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

দীর্ঘ সময় প্রবাসে থাকার পর তার সরাসরি মাঠের রাজনীতিতে ফেরা বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করবে এবং ক্ষমতার রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করবে।

এদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন গুরুত্ব পাচ্ছে। বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম ইতিমধ্যে তাকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব প্রতিবেদনে তার নেতৃত্ব, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার ভূমিকার সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু একটি ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ঘটনা নয়; বরং এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে—যার প্রভাব আগামী দিনের জাতীয় রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী হতে পারে।

সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া

এম.কে

আরো পড়ুন

বাংলাদেশের ভিতরের এক ভয়ংকর নির্যাতনাগারের সন্ধান

সৌদিতে অবতরণের অনুমতি এখনো পায়নি বিমান

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রায় দেড় লাখ ভিডিও মুছে ফেলেছে ইউটিউব