বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে তুরস্কের তৈরি ট্রিজি-৩০০ কাপন রকেট ব্যবস্থা। সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এই অস্ত্র দেশের সামরিক ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সামরিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রকেট ব্যবস্থা বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনে দেবে। এটি শুধু শত্রুর ঘাঁটি নয়, বরং দূরবর্তী কমান্ড সেন্টার, বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটি ও কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
তুরস্কের রকেটসান নামক প্রতিষ্ঠান এই রকেট সিস্টেম তৈরি করেছে, যা আধুনিক প্রযুক্তি ও উচ্চ নির্ভুলতা সম্পন্ন। প্রতিটি রকেটের ওয়ারহেড প্রায় ১০৫ কেজি বিস্ফোরক বহন করতে সক্ষম এবং এটি জিপিএস ও ইনারশিয়াল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সম্প্রতি ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ে উঠেছে। এর আগেও সাঁজোয়া যান ও ড্রোন সরবরাহে চুক্তি হয়েছে। এবার দূরপাল্লার রকেট পরীক্ষার মাধ্যমে সেই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হলো।
দেশের চলমান ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এই পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সেনাবাহিনীর প্রযুক্তিনির্ভর ও দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল বাহিনী হিসেবে রূপান্তরের প্রক্রিয়া আরও জোরালো হলো।
সেনাবাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি না দিলেও সামরিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী দিনে আরও উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র সংগ্রহ ও পরীক্ষার ঘোষণা আসতে পারে।
এই সফল রকেট পরীক্ষা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য প্রতিরক্ষা শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে। এটি শুধু প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তায়ও দেশের ভূমিকা জোরদার করবে।
সূত্রঃ ইরানিয়ান মিলিটারি
এম.কে
০৪ জুলাই ২০২৫