ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এতে ২০২৫ সালের সবচেয়ে গরম দিনের রেকর্ড ভাঙতে পারে।
দশ দিন আগে সারেতে রেকর্ড হওয়া ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে আজকের তাপমাত্রা। সোমবার লন্ডনের হিথরোতে ৩৩.১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
মিডল্যান্ডস অঞ্চলেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে, তবে যুক্তরাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলে আবহাওয়া থাকবে ঠান্ডা ও মেঘলা।
ইউরোপজুড়ে তীব্র গরম পড়ছে—ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি, জার্মানি ও বালকান অঞ্চলজুড়ে দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা (UKHSA) অ্যাম্বার সতর্কতা জারি করেছে ইয়র্কশায়ার ও দ্য হাম্বার, ইস্ট ও ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস, ইস্ট অব ইংল্যান্ড, লন্ডন এবং দক্ষিণ ইংল্যান্ডের দুই অংশে।
এই সতর্কতা জনসেবা, বিশেষ করে হাসপাতাল ও পরিবহন ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জনগণকে গরমে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের জন্য জারি করা হয়েছে ইয়েলো সতর্কতা, যা অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ।
স্কটল্যান্ডের হাইল্যান্ডস ও মোরে অঞ্চলে বনাঞ্চলে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস টানা চতুর্থ দিনের মতো কাজ করছে।
সোমবার রাতেও বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ছিল মাঝামাঝি থেকে উঁচু স্তরে, বিশেষ করে পূর্ব অ্যাঙ্গলিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রির নিচে নামেনি, যা ‘ট্রপিক্যাল নাইট’ হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবার রাত দক্ষিণ-পূর্ব বাদে বেশিরভাগ জায়গায় কিছুটা স্বস্তিদায়ক হবে।
বুধবার থেকে যুক্তরাজ্যের তাপপ্রবাহের অবসান ঘটবে এবং দক্ষিণ-পূর্বে তাপমাত্রা কমে গিয়ে ২৫ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে, যা জুলাইয়ের শুরুতে স্বাভাবিক।
দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ড ও পূর্ব স্কটল্যান্ডে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উইম্বলডন টেনিস টুর্নামেন্টে এবার ইতিহাসের সবচেয়ে গরম সূচনা দেখা গেছে। খেলোয়াড়দের মাথায় বরফের ব্যাগ দিয়ে ঠান্ডা হতে দেখা গেছে।
এটি যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় তাপপ্রবাহ, যেখানে তিন দিন ধরে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা অতিক্রম করলেই অফিসিয়ালি হিটওয়েভ ঘোষণা করা হয়।
‘হিট ডোম’ নামে পরিচিত ইউরোপজুড়ে আটকে থাকা একটি উচ্চচাপ বলয় এই তাপপ্রবাহের জন্য দায়ী।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের তীব্র ও ঘন ঘন গরম ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। যুক্তরাজ্যে এমন আবহাওয়া এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠছে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
০১ জুলাই ২০২৫