TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

দক্ষ অভিবাসীরা ব্রিটিশ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেঃ ব্লানকেটের নতুন পরিকল্পনায় সমর্থন

ব্রিটেনের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী ডেভিড ব্লানকেট এমন এক প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে বিদেশি দক্ষ অভিবাসীরা ব্রিটিশ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এই পরিকল্পনা জনমনে ইমিগ্রেশনবিরোধী নেতিবাচক মনোভাব কমাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

গুড গ্রোথ ফাউন্ডেশন নামের একটি থিঙ্কট্যাংক “ওয়ার্ক অ্যান্ড টিচ” নামের বিশেষ ভিসা প্রস্তাব করেছে। এই ভিসা স্কিমের আওতায় যারা দক্ষ কর্মী হিসেবে যুক্তরাজ্যে আসবেন, তারা তাদের কর্মঘণ্টার একটি অংশ স্থানীয় ব্রিটিশ কর্মীদের মেন্টরিং ও প্রশিক্ষণে ব্যয় করবেন।

থিঙ্কট্যাংকের জরিপে দেখা গেছে, এই প্রস্তাব জনমতের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪০% আগে ইমিগ্রেশন নিয়ে ‘অত্যন্ত উদ্বিগ্ন’ ছিলেন, কিন্তু “ওয়ার্ক অ্যান্ড টিচ” ভিসার ধারণা শোনার পর সেই হার নেমে এসেছে ২২%-এ। সামগ্রিকভাবে জনঅসন্তোষ কমেছে ১২ থেকে ১৮ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত।

ডেভিড ব্লানকেট বলেছেন, “ইমিগ্রেশনকে দক্ষতা উন্নয়নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করার এই প্রস্তাব বাস্তবসম্মত ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ। স্লোগান বা দোষারোপের মাধ্যমে নয়, বরং মানুষকে নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়েই সত্যিকারের ‘টেক ব্যাক কন্ট্রোল’ সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “জনগণের ইমিগ্রেশনবিরোধী মানসিকতা মূলত সুযোগের অভাব থেকে আসে। যখন মানুষ অগ্রগতির বাইরে মনে করে, তখন হতাশা জন্মায়; কিন্তু দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ হলে সেই আস্থা ফিরে আসে।”

এই প্রস্তাবটি নভেম্বরের বাজেট ঘোষণার আগে মন্ত্রীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনের ভূমিকায় ব্লানকেট লিখেছেন, “দক্ষতা নীতি কোনো বাড়তি সংযোজন নয়, এটি একটি ন্যায়সঙ্গত, আত্মবিশ্বাসী ও উৎপাদনশীল দেশের ভিত্তি।”

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন এনে স্কিলস ব্রিফটি ডিপার্টমেন্ট ফর এডুকেশন থেকে ডিপার্টমেন্ট ফর ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনস-এ স্থানান্তর করেছেন, যাতে কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়নকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ কনফারেন্সে ঘোষণা দেন, যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকতে চাইলে অভিবাসীদের উচ্চমানের ইংরেজি শেখা, অপরাধমুক্ত থাকা এবং সমাজে স্বেচ্ছাসেবার মতো যোগ্যতা প্রদর্শন করতে হবে। এছাড়া আগামী বছর থেকে কিছু দক্ষ কর্মীর জন্য A-লেভেল মানের ইংরেজি দক্ষতা বাধ্যতামূলক হবে।

গুড গ্রোথ ফাউন্ডেশনের পরিচালক প্রাফুল নারগুন্দ বলেন, “আমরা ফারাজকে ফারাজের মতো প্রতিযোগিতায় হারাতে পারব না। আমাদের দরকার প্রগতিশীল এক দৃষ্টিভঙ্গি—যেখানে অভিবাসীরা তাদের অবদান রাখবেন, আর স্থানীয়রা সেই সুযোগে নিজেদের উন্নত করবেন।”

তিনি আরও যোগ করেন, “ইমিগ্রেশন ও স্কিলস রিফর্মকে একত্র করলে চাপ নয়, সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি হয়—যেখানে নতুন আগত ও স্থানীয় কর্মীরা মিলে দেশকে এগিয়ে নিতে পারেন।”

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
অক্টোবর ২০২৫

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যের রেড লিস্টে যুক্ত হলো ভারত

অনলাইন ডেস্ক

ইংল্যান্ডে মেডিকেল এসিস্ট্যান্টরা প্রেসক্রিপশন প্রদানের ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে

নিউজ ডেস্ক

রুয়ান্ডা বিল দ্রুত পাসে হাউস অব লর্ডসের প্রতি সুনাকের আহ্বান