10.1 C
London
November 5, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

দাতব্য সংস্থার সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর

যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলরের পরিকল্পনা অনুযায়ী আনুমানিক প্রায় চার লাখ প্রতিবন্ধী ও দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত লোক সরকারী সহায়তা ফান্ড হতে অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন। যা বছরে প্রায় ৫,০০০ পাউন্ডের ফান্ড হতে তাদের বঞ্চিত করতে পারে।

এই পরিকল্পনা প্রকাশের পর চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা কর্তৃক সমালোচনার মুখে পড়েন। কারণ হিসেবে দাতব্য সংস্থা বলে, যেখানে চাকুরী পাওয়াই কঠিন সেখানে আর্থিক ও মানসিক অশান্তি সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছুই হবে না। নৈতিকভাবে ডিসেবল মানুষেরা সকল ধরনের সহায়তা ফান্ড পাবার অধিকার রাখে।

সহায়তা ফান্ড সংক্রান্ত ক্র্যাকডাউন বক্তব্যের অংশ হিসেবে জেরেমি হান্ট বলেন, যদি জবসেন্টারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে কেউ ব্যর্থ হন তাহলে তারা সকল ধরনের সুবিধা হারাতে পারেন।

তবে চ্যান্সেলর এটা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, বর্তমান সময়ে স্বল্প আয়ের পরিবারেরা মারাত্মক চাপে আছে। তিনি ক্রমবর্ধমান গৃহহীনদের বিষয়ে দাতব্য সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চাপের কাছেও মাথা নত করেছিলেন। যেখানে ঘরভাড়া অব্যাহত ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে প্রতিনিয়ত জীবন সংগ্রামে নিম্ন আয়ের লোকেদের যুদ্ধ করা স্বাভাবিক বলে দাবি করে বিশ্লেষকেরা।

তবে ওয়ার্কিং এজ বেনিফিটের হার বৃদ্ধির কারণে ইউনিভার্সাল ক্রেডিট গ্রহণ করা ৫.৫ মিলিয়ন পরিবার গড়ে আগামী এপ্রিল থেকে বছরে ৪৭০ পাউন্ড অতিরিক্ত বেনিফিট পাবেন। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় পেনশনকে গড় আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে বছরে ৯০০ পাউন্ড পর্যন্ত বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।

চ্যান্সেলর “ফিট ফর ওয়ার্ক” প্রসেসকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। এই সিস্টেম চালু করায় ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে সরকার প্রায় ১ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ বাঁচাতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা করেন।

কর্ম ও পেনশন বিভাগের মতে বর্তমানে অক্ষমতা বেনিফিট দাবীদারদের সংখ্যা প্রায় ২.৪ মিলিয়ন। যা আগামী  ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে ২.৯ মিলিয়নে গিয়ে দাঁড়াতে পারে।

দাতব্য সংস্থা সরকারের কাজের সহায়তা ব্যবস্থাগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে বেনিফিট সাপোর্টকে কর্তন করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার অনুরোধ জানিয়েছে তারা সরকারের কাছে। তাদের যুক্তিতে স্বল আয়ের লোকেরা বেনিফিট নিষেধাজ্ঞার মুখে পতিত হলে, অনেক পরিবার ঝুঁকিতে পড়বে যা দেশকে দারিদ্রতার দিকে নিয়ে যাবে।

দাতব্য সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আবাসন ভাতার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলে, ভবিষ্যতে বাসাভাড়া প্রতিনিয়ত বাড়তে পারে তাই হাউজিং বেনিফিট দ্বারা কতটুকু লাভবান হবে স্বল্প আয়ের লোকেরা সেটা নিয়েও ভাবার সময় এসেছে।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
২৩ নভেম্বর ২০২৩

আরো পড়ুন

ক্রিপ্টোকারেন্সি জালিয়াতি, লন্ডনে একজন হারালেন প্রায় ৩ কোটি টাকা

ভারতীয় নার্স ও ডাক্তারদের আধিক্য এনএইচএসেঃ গবেষণা

টি-২০ তে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টাইগারদের জয়