কোরবানির পশুর চামড়ার দাম পাচ্ছেন না দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। দাম না পেয়ে চামড়া নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে খেয়ে ফেলছেন তারা। সরকার চামড়ার দাম বেঁধে দিলেও সে দামের প্রভাব নেই উপকূলীয় পটুয়াখালীসহ আশপাশের অঞ্চলে।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানি দিয়ে নিজেরাই পশুর চামড়া ছাড়িয়ে নিয়েছেন। যারা ভাগে কোরবানি দিয়েছেন তারা অংশীদারদের মধ্যে চামড়া ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন। কেউ কেউ চামড়া ছাড়িয়ে মাদরাসা ও এতিমখানায় দান করে দেন।
স্থানীয়রা জানান, মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা আকারভেদে একটি গরুর চামড়ার দাম দিচ্ছেন ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা। যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক কম।
গত ১৭ জুন সোমবার বাংলাদেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানি ঈদ উদযাপিত হয়েছে।
পটুয়াখালীর দশমিনার মাছুয়াখালী গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন চামড়ার দাম না পেয়ে নিজেদের মধ্যে তারা চামড়া ভাগ করে নিয়েছেন। তারা বলেন, চামড়া
ছাড়াতে মজুরি ৪০০ টাকা কিন্তু বিক্রি করলে মূল্য কিছুই পাওয়া যায় না। তাই আমরা নিজেরাই চামড়া ছাড়িয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছি। সবাই চামড়া রান্না করে খাবে।
গত ৩ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়ার মূল্য ঠিক করে দেয়। এবার ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
এছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী একটি গরুর চামড়ার দাম এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা হওয়ার কথা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এম.কে
২২ জুন ২০২৪
বিভাগঃ বাংলাদেশ