বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিয়ে একটি গবেষণা বলছে, দারিদ্রের পিছনে ব্যাক্তিগত ব্যর্থতা দায়ী নয়, বরঞ্চ এটি একটি ফাঁদ। এটি একটি স্থায়ী সমস্যা। দারিদ্র্য একদিকে যেমন বর্তমানের সমৃদ্ধিকে হ্রাস করে, অন্যদিকে আগামী জীবনের সম্ভাবনা ব্যাহত করে।
যুক্তরাজ্যের জন্য একটি অপমানজনক ব্যাপার হচ্ছে, এদেশে দরিদ্রতম পরিবারের আয় সঙ্কটকালীন বছরগুলোতে কমে গিয়েছে এবং প্রায় ২০ বছরের ব্যবধানেও তা অপরিবর্তীত রয়েছে।
আবার, উন্নয়নশীল দেশগুলোর বড় প্রশ্ন- দারিদ্র্য কেন স্থায়ী হয়? এটি সেই দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য, যাদের অর্থনৈতিক তত্ত্ব বলে- আয়ের সমতা থাকা উচিত; কিন্তু অর্থনৈতিক বাস্তবতা হল- আয়ের বিশাল ও স্থায়ী ব্যবধান রয়েছে । ২০১৫ সালে বিশ্বের ৭০ কোটিরও বেশি মানুষ বাস করত চরম দারিদ্র্যে।
এরপরও বিতর্ক আছে যে, দরিদ্র দেশগুলিতে একজন ব্যক্তি কেন সর্বদা দরিদ্র থাকে যেখানে আরও বেশি উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। দরিদ্র পরিবারগুলিকে উল্লেখযোগ্য পরিমান অর্থ সংস্থান করেছিল এমন একটি প্রোগ্রামের তথ্য বুদ্ধিদীপ্তভাবে ব্যবহার করে লেখকরা দেখিয়েছেন যে, প্রায় ৫০০ ডলার (৩৯১ পাউন্ড) এর এমন একটি ট্রিপিংপয়েন্ট রয়েছে যার কম হলে মানুষের পক্ষে উচ্চতর আয়ের পথে যুৎসই প্রবেশ সম্ভব নয়।
‘দারিদ্র্যের জাল’ ধারণাটি নতুন নয়। তবে একটি বিষয় সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, দারিদ্র্যের বেড়াজাল ভেঙে ফেলতে প্রয়োজন একটা বড় ধাক্কা। লেখকরা যেমন লেখেন: মানুষের অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্য নয় বরং পরিস্থিতি তাকে দারিদ্র্যের মধ্যে আটকে দেয়।
পরিশেষে বলা যায়, পরিস্থিতিই যদি সমস্যা হয় তবে সেই পরিস্থিতিগুলো পরিবর্তন করা উচিত এবং হওয়া উচিত।
তথ্যসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, টর্স্টেন বেল (রেজোলিউশন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী)
রূপান্তর: শামীমা আলম (লন্ডন)
১৫ আগস্ট ২০২০
এনএইচটি