4.4 C
London
December 23, 2024
TV3 BANGLA
বাকি বিশ্ব

দ. কোরিয়ায় পুরুষের আত্মহত্যা বাড়ার জন্য দায়ী করা হচ্ছে নারীকে

দক্ষিণ কোরিয়ায় পুরুষদের ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যার জন্য নারীর ভূমিকাকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন দেশটির ডেমোক্রেটিক পার্টির এক রাজনীতিবিদ। তবে তার এমন মন্তব্য বিভিন্ন মহলে সমালোচনারও শিকার হচ্ছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের সিটি কাউন্সিলর কিম কি ডাক। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, বছরের পর বছর ধরে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়ে যাওয়ার ফলে পুরুষের চাকরি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি নারীরা চাকরি শুরু করায় পুরুষেরা বিয়ে করার জন্য সহজে পাত্রীও খুঁজে পাচ্ছেন না।

কিম মনে করেন, দক্ষিণ কোরিয়া ধীরে ধীরে একটি নারী-প্রধান সমাজে পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে। আর এই প্রবণতাটিই পুরুষের আত্মহত্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।

বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। রাজধানী সিউলে হান নদীর ওপর নির্মিত সেতুতে আত্মহত্যা চেষ্টার সংখ্যা বিশ্লেষণ করতে গিয়েই নিজের মতামত প্রকাশ করেন কাউন্সিলর কিম।

সিটি কাউন্সিলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে হান নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৪৩০ টি। আর ২০২৩ সালে এই সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫ টি। এর মধ্যে ২০১৮ সালেও নিজের জীবন কেড়ে নিতে চাওয়া মানুষদের মধ্যে ৬৭ শতাংশই ছিলেন পুরুষ। অন্যদিকে ২০২৩ সালে আত্মহত্যা করতে চাওয়া পুরুষের অনুপাত আরও বেড়ে হয়েছে ৭৭ শতাংশ।

তবে পুরুষের আত্মহত্যা বাড়ার কারণ হিসেবে নারীকে দায়ী করে কিমের দেওয়া বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞরা। সিউলের ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্যের অধ্যাপক সং ইন হ্যান বিবিসিকে বলেছেন, ‘পর্যাপ্ত প্রমাণ ছাড়াই এই ধরনের দাবি করা বিপজ্জনক এবং নির্বুদ্ধিতার কাজ।’

সং ইন হ্যান উল্লেখ করেছেন—শুধু দক্ষিণ কোরিয়াই নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও নারীর চেয়ে পুরুষেরাই বেশি আত্মহত্যা করছেন। যুক্তরাজ্য সহ অনেক দেশেই বর্তমানে ৫০ বছরের কম বয়সী পুরুষদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। পুরুষের এমন আত্মহত্যা বাড়ার কারণগুলো খুঁজে বের করার জন্য আরও বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণ প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন সং ইন হ্যান।

প্রতিবেদন বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মক্ষেত্রে নারীরা এখনো পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে আছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নারীদের চাকরিগুলো হয় অস্থায়ী এবং খণ্ডকালীন। আর দুই লিঙ্গের মধ্যে বেতনের ব্যবধান ধীরে ধীরে কমতে শুরু করলেও দেশটির নারীরা এখনো পুরুষের তুলনায় গড়ে ২৯ শতাংশ কম বেতন পান।

সূত্রঃ বিবিসি

এম.কে
১০ জুলাই ২০২৪

আরো পড়ুন

সুইজারল্যান্ডে জানুয়ারি থেকে বোরকা পরা নিষিদ্ধ

সাংহাইয়ে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে

জাদুঘর থেকে পুরনো রূপে ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক মসজিদ, ৭৯ বছর পর জুমার নামাজ