বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য নতুন আতঙ্ক ‘ই-বর্জ্য’। পরিত্যক্ত মোবাইল, কম্পিউটারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে দেশে বছরে প্রায় ৩০ লাখ টন ই-বর্জ্য সৃষ্টি হচ্ছে। যার উপযুক্ত ডাম্পিং না হওয়ায় তা মাটি ও পানিতে চলে যাচ্ছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা। মৃত্যু ডেকে আনছে মানুষের। অথচ রিসাইকলিং করা গেলে এই ই-বর্জ্য থেকে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রযুক্তি বিপ্লবের এই যুগে জীবনযাত্রা সহজ করতে হাতে কিংবা ঘরে স্থান করে নিয়েছে মোবাইল ফোন, টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটারসহ নানা ইলেকট্রনিক পণ্য। ব্যবহারের পর এসব পণ্যের কর্মক্ষমতা কমে গেলে বা নষ্ট হলে সেগুলো বর্জ্য হিসেবে যত্রতত্র ফেলা হয়। যা ডেকে নিয়ে আসছে পরিবেশ বিপর্যয়।
কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন সৈয়দ আক্তার হোসেন বলেন, ‘ই-বর্জ্যে ক্যাডমিয়াম, মার্কারি ও আর্সেনিকসহ নানা ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে, যা প্রকৃতিতে মিশে খাবারের মাধ্যমে আবার মানবদেহে প্রবেশ করছে। বর্তমানে হাতে গোনা দু-একটি প্রতিষ্ঠান ই-বর্জ্য রিসাইকলিং করছে।
এ ক্ষেত্রে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত বাংলাদেশ সরকারের বলে মতামত দিয়েছেন গবেষকেরা।
বিশ্ব গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে ই-বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ ৭ কোটি ৪৭ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে।
এম.কে
০৪ জুন ২০২৩