24.5 C
London
June 16, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

নতুন ওষুধ গবেষণায় এনএইচএস অ্যাপের মাধ্যমে বিপ্লব আনছে ব্রিটেন

যুক্তরাজ্য সরকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরিসর ব্যাপকভাবে বাড়াতে যাচ্ছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইংল্যান্ডে কোটি কোটি মানুষকে এনএইচএস অ্যাপের মাধ্যমে গবেষণায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা হবে।

রোগীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য ও আগ্রহের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের উপযুক্ত গবেষণায় যুক্ত করা হবে। এই মিলন নিশ্চিত করা হবে এনএইচএস অ্যাপের মাধ্যমে, যেখানে স্মার্টফোনে নোটিফিকেশন পাঠিয়ে গবেষণার তথ্য জানানো হবে।

কোনো এনএইচএস ট্রাস্ট নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। যারা ভালো করবে, তারা অতিরিক্ত অর্থায়ন পাবে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে ব্রিটেনের বৈশ্বিক চিকিৎসা গবেষণায় নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই সরকারের লক্ষ্য।

স্বাস্থ্য খাতে সরকারের আসন্ন ১০ বছরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এনএইচএস-এর ডিজিটাল রেকর্ড ব্যবস্থাকে সহজ করে গবেষণায় অংশগ্রহণ দ্রুত ও নির্ভুল করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এই পরিকল্পনা অনুসারে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন ও শুরু হওয়ার সময়সীমা কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে যেখানে একেকটি ট্রায়াল চালু হতে এনএইচএস-এ ২৫০ দিন সময় লাগে, তা ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫০ দিনে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং বলেন, “ব্রিটিশ জনগণ কোভিড ভ্যাকসিন গবেষণায় যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল, এবারও তারা ক্যানসার ও ডিমেনশিয়ার মতো রোগের চিকিৎসা খুঁজতে অংশ নেবে। এনএইচএস অ্যাপ হবে সেই পথের ডিজিটাল দরজা।”

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার রিসার্চ (NIHR) পরিচালিত ‘Be Part of Research’ প্ল্যাটফর্মে মিলিয়ন মানুষ এখন গবেষণায় অংশ নিতে পারবেন, নিজের আগ্রহ ও প্রয়োজন অনুযায়ী ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল খুঁজে নিতে পারবেন।

NIHR ইতোমধ্যে গবেষণার জন্য অংশগ্রহণকারী সংগ্রহে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। তরুণ, কৃষ্ণাঙ্গ ও দক্ষিণ এশীয় জনগোষ্ঠীকে বিশেষভাবে অংশ নিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি গবেষণায় পারিশ্রমিক না দেওয়া হলেও বাণিজ্যিক গবেষণাগুলোতে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ থাকে।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রোগী অংশগ্রহণ ২৭% এবং নতুন বাণিজ্যিক গবেষণা ৩৮% হ্রাস পেয়েছে। এনএইচএসের চাপ ও প্রশাসনিক জটিলতাকে এই অবনতির জন্য দায়ী করা হয়েছে।

উইলকম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী সতর্ক করে বলেন, এই ধারা চলতে থাকলে ওষুধ কোম্পানিগুলো গবেষণার জন্য অন্য দেশে চলে যাবে। সরকার এখন সেই আশঙ্কা দূর করে যুক্তরাজ্যকে আবারও চিকিৎসা উদ্ভাবনের বিশ্বনেতা করে তুলতে চায়।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
১৬ জুন ২০২৫

আরো পড়ুন

বিলেতে বাড়ি কেনা-বেচাঃ স্কিল্ড ওয়ার্কার ভিসা হোল্ডারদের জন্য প্রপার্টি মর্গেজ

জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে সহায়তা বন্ধ করবে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য

বরিস বেকারকে নির্বাসন দেওয়া হতে পারে