পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে বেতন বিরোধের কারণে যুক্তরাজ্যের রাজধানীতে জমে উঠেছে ময়লা আবর্জনার স্তূপ। যা সম্ভাব্য জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটের বাসিন্দারা আবর্জনার স্তূপের কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন। যেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ও আবর্জনার দিকে ধেয়ে আসছে কীটপতঙ্গ।
পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মধ্যে বেতনের নিয়ে এ দ্বন্দ্বের সূচনা বেশ আগে। ফলশ্রুতিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তারা ধর্মঘটে যায়। এরপর দশদিনের বেশি সময় ভোগান্তিতে পড়েন বাসিন্দারা।
এমন অনমনীয় বিবাদের মাঝে আবর্জনা অপসারণের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ করে কাউন্সিল। কিন্তু তাদের দক্ষতা বা লোকবল আবর্জনার পাহাড় সরানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
কিছু ফুটপাত ময়লার স্তূপ এতটাই জায়গা দখল করেছে যে দুজন মানুষ পাশাপাশি হাঁটতে পারছে না। আবার কিছু দোকানের প্রবেশপথেও জমে আছে ময়লা-আবর্জনা।
উপচে পড়া বিন থেকে ময়লা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। কিছু এলাকার ড্রেন আটকে গেছে।
তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হল জনস্বাস্থ্য। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ফেলে দেয়া মোড়ক ও খাবারসহ গৃহস্থালি বর্জ্যের মধ্যে ইঁদুরের আনাগোনা দেখেছেন তারা।
সর্বশেষ খবরে জানা যায়, প্রশাসন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ইউনিয়ন একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছে। গত মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে জানায়, বর্জ্য পরিষেবা কর্মী ও রাস্তার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা দ্রুতই কাজে ফিরবেন।
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা একসঙ্গে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের সড়কগুলো পরিষ্কার করব।
অন্য একটি বিবৃতিতে ইউনিয়ন বলেছে আমাদের সদস্যদের মজুরিতে অতিরিক্ত ৭৫০ পাউন্ড নিশ্চিত করতে হবে।
এম.কে
০৫ অক্টোবর ২০২৩