ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করায় দক্ষিণ আফ্রিকার কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ঘনিষ্ঠতম মিত্রের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ওয়াশিংটন দাবি করেছে, গাজায় কোনো গণহত্যাই হয়নি।
আগামী সপ্তাহে দ্য হেগে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। মামলাটিতে গাজার মানুষদের ওপর গণহত্যার বিচার এবং ফিলিস্তিনি উপত্যাকায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত সামরিক অভিযান বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইসরায়েলের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও দক্ষিণ আফ্রিকার সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব যেসব কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে যোগ দিতে রাজি হয়নি প্রিটোরিয়া। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা রাশিয়ার কাছে জাহাজ বোঝাই অস্ত্র পাঠিয়েছিল অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যেই প্রিটোরিয়ার সমালোচনা করেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় ৫০ জন আইনজীবী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সরকারগুলির বিরুদ্ধেও মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে। নিরাপরাধ ফিলিস্তিনিদের হত্যায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত আছে বলে মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবীরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবী উইকাস ভ্যান রেনসবার্গের নেতৃত্বে মামলার উদ্যোগের লক্ষ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। যারা নাগরিক আদালতের দৃষ্টিতে অপরাধে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত বলে মনে করেন উইকাস ভ্যান রেনসবার্গ।
ইসরায়েল এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন দেশ উত্থাপন করেছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আইসিজেকে চিঠি লিখে এই বিষয়ে তাদের সহমর্মিতা জানায়। রেনসবার্গের সহকর্মীরা ইতোমধ্যে দুটি পশ্চিমা দেশগুলির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি শুরু করেছেন বলে খবরে জানা যায় ।
রেনসবার্গ আনাদোলুকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যে অপরাধ করেছে তার জন্য তাদের দায়বদ্ধ হতে হবে।”
সূত্রঃ এএফপি
এম.কে
১৭ জানুয়ারি ২০২৪