পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডে তার সাবেক সহকারী টাইরেস হাসপিল দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২০ সালে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। গত সোমবার (২৪ জুন) ম্যানহ্যাটন সুপ্রিম কোর্ট এ মামলায় তার সাবেক সহকারীকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
আদালতে তার সাবেক সহকারী টাইরেস হাসপিল জানান, প্রেমিকাকে আকৃষ্ট করার জন্য নানা উপহার কিনতে তিনি ফাহিমের অর্থ চুরি করেছিলেন। পরে এ বিষয়টি আড়াল করতেই তিনি ফাহিমকে হত্যা করেন। তবে তার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন বিচারক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপিল ফাহিমের চার লাখ মার্কিন ডলার চুরি করেন। এরপর বিষয়টি আড়াল করতে হত্যার পর তার ইলেক্ট্রিক করাত দিয়ে খণ্ড বিখণ্ড করেন। এ ঘটনায় হাসপিলকে ফাস্ট ডিগ্রি হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
ফাহিম সালেহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ও মার্কিন নাগরিক ছিলেন। তিনি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা ছিলেন। এছাড়া নাইজেরিয়াভিত্তিক স্কুটার স্টার্ট-আপ গোকাদার প্রধান নির্বাহী ছিলেন ফাহিম।
২০২০ সালের ১৩ জুলাই নিজ অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন ফাহিম। এ ঘটনার তখন তার ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ওই বছরের ১৩ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
আইনজীবীরা বলছেন, হাসপিল ফাহিমকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেন। আদালতে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে তার আইনজীবীদের দাবি, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন হাসপিল। এজন্য তার সাজা কমানোর দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা। যদিও আইনজীবীদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন জুরিবোর্ড।
সিএনএন জানিয়েছে, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় হাসপিলের সাজা ঘোষণার তারিখ ধার্য করা হয়েছে। এ মামলায় তার ২৫ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
সূত্রঃ সিএনএন
এম.কে
২৭ জুন ২০২৪