বাঙালি সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করছে পান। অলি-গলির দোকান পেরিয়ে পান যাচ্ছে বিদেশে। রপ্তানিতে আয় করছে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা।
কক্সবাজারের মহেশখালী, রাজশাহী, দিনাজপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পান চাষ হয়। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে অর্থকরী এ ফসল।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সবশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যানের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের (জুলাই-মার্চ) ৯ মাসে পান রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে এক কোটি ৮২ লাখ মার্কিন ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় ২০০ কোটি টাকার বেশি।
ইপিবির তথ্য বলছে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পান রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছিল এক কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। রপ্তানির লক্ষ্য বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরে ঠিক করা হয় এক কোটি ৪০ লাখ ডলার। তবে গত ৯ মাসে লক্ষ্যের চেয়ে ৭৪ শতাংশ বেশি পান রপ্তানি হয়েছে। অর্থবছর শেষে পান রপ্তানির এ অংক আরো বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা।
পান রপ্তানির বিষয় জানতে চাইলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব বলেন, পান রপ্তানি বাড়াতে সরকার জোর দিয়েছে। রপ্তানিকারকদের নগদ সহায়তার পাশাপাশি কোল্ড স্টোরেজের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয় নিয়মিত মনিটরিং করছে। কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তা সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছে। যার ফলে এবার পান রপ্তানি লক্ষ্যের চেয়ে বেশি হয়েছে। আগামীতে রপ্তানি আরো বাড়ছে বলে প্রত্যাশা করেন এ কর্মকর্তা।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পান পাতা বাজারে বিক্রি হয় পণ বা বিড়া হিসেবে। প্রতি পণে ৮০টি পাতা থাকে। স্থানীয় বাজারে প্রতি পণ পানের দাম পাওয়া যায় ৪০ থেকে ১২০ টাকা। অর্থাৎ আকারভেদে প্রতিটি পাতা ৫০ পয়সা থেকে দেড় টাকায় বিক্রি হয়। দেশের বাজারে দুই ধরনের পানের (দেশি পাতা ও মিঠা পাতা) চাহিদা থাকলেও শুধু মিষ্টি পানই বিদেশে রপ্তানি হয়। রপ্তানির জন্য বাছাই করা ভালোমানের পান পাতা প্রতিটি ২ থেকে ৪ টাকা করে বা প্রতি পণ ১৬০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
এম.কে
১৩ এপ্রিল ২০২৪