যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে ২০ বছর বয়সী এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার আগে, হ্যাকনির বডনি রোডে সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর পুলিশ সেখানে পৌঁছায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায়, ছুরিকাঘাতে আহত যুবক গুরুতর অবস্থায় পড়ে আছেন, তার দেহে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। কিছুক্ষণ পর তাকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করা হয়।
ভুক্তভোগীর নাম জেসন জুনিয়র রোমিও বলে সনাক্ত করা হয়েছে।
ডিটেকটিভ সুপারিনটেনডেন্ট কেলি অ্যালেন বলেছেন, “জেসনের পুরো জীবন সামনে পড়ে ছিল, কিন্তু এই নিষ্ঠুর হামলা তার ও তার পরিবার-পরিজনের কাছ থেকে সেই ভবিষ্যৎ কেড়ে নিয়েছে। আমরা তার পরিবারের পাশে আছি, এবং বিশেষ কর্মকর্তারা তাদের সহযোগিতা করছেন।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ২৫ ও ২৩ বছর বয়সী দুই ব্যক্তিকে হত্যার সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
হ্যাকনির তদন্তের নেতৃত্বে থাকা ডিটেকটিভ সুপারিনটেনডেন্ট ভিকি টানস্টল বলেন, “এই কঠিন সময়ে আমরা নিহত যুবকের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
আমি হ্যাকনির জনগণের ধৈর্যের জন্য কৃতজ্ঞ, আমরা এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা জানি, এটি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য উদ্বেগজনক সময়, তাই এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।
যদিও আমরা প্রাথমিকভাবে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি, তবে এখনো তদন্তের অনেক কিছু বাকি আছে।
যদি কেউ কোনো তথ্য জানেন—বিশেষ করে বডনি রোডে বিকেল ৫:৩০-এর সময়ের ড্যাশক্যাম, ডোরবেল ক্যামেরা বা মোবাইলের ফুটেজ থাকে—তাহলে দয়া করে আমাদের জানান।”
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব লন্ডনের এই এলাকায় পাঁচজন ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং ১৪ বছর বয়সী, যার নাম কেলিয়ান বোকাশা।
কেলিয়ানকে জানুয়ারির ৭ তারিখ দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের উলউইচে প্রায় ২৭ বার ছুরিকাঘাত করা হয়।
কেলিয়ানের ঘটনার পর, বুধবার হোম অফিস নতুন অ্যান্টি-নাইফ ক্রাইম পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে—বিপুল পরিমাণে বা সন্দেহজনকভাবে ছুরি কেনার ক্ষেত্রে দোকানদারদের পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা বাধ্যতামূলক করা, এবং শিশুদের কাছে অবৈধ ছুরি বা অস্ত্র বিক্রির শাস্তি দুই বছর কারাদণ্ড করা।
এই নতুন অ্যান্টি-নাইফ ক্রাইম প্রস্তাবনার নাম “রোনান’স ল’” রাখা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
সূত্রঃ দ্য মেট্রো
এম.কে
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫